মুকসুদপুরে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত অন্তত ৫০ গোপালগঞ্জ / 
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র দু’ গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষে ৮ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। এ সময় বনগ্রাম বাজারের ২০ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ৪টি বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়। পুলিশ ৪৯ রাউন্ড রাবার বুলেট, ২ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ ও ২ জনকে আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত মুকসুদপুর উপজেলার বনগ্রাম ও মহারাজপুর গ্রামের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত ১২ জনকে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত মুকসুদপুর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ সহ ৮ পুলিশ সদস্য ও হাসপাতাল থেকে অন্যান্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
মুকসুদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মীর সাজেদুর রহমান জানান, সোমবার বিকেলে মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ আলী আশু মিয়ার ছেলে আলমগীর মিয়াকে মহারাজপুর গ্রামের এক ইজিবাইক চালক রাস্তায় ইজিবাইক দিয়ে ধাক্কা দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাক বিতন্ডা হয়। ইজি বাইক চালক আলমগীরকে ধরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মহারাজপুর গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সর্জিত হয়ে বনগ্রাম বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে হামলা শুরু করে। পরে বনগ্রামের মানুষ এগিয়ে এলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় বনগ্রাম বাজারের ২০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ৪টি বাড়ি ভাংচুর করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে আলমগীরের মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়। পরে পাশ্ববর্তী আইকদিয়া ও পাইকদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ও র্যাব দীর্ঘ চেষ্টার পর দুপুর দেড়টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওই কর্মকর্তা আরো জানান, এ ঘটনায় ৪৯ রাউন্ড রাবার বুলেট, ২ রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে। আহত মুকসুদপুর থানার ওসি সহ ৮ পুলিশ সদস্য প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এখন এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।