কিশোরগঞ্জে হাজারো অসহায়ের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশংসিত তরুণ ব্যবসায়ী মাখন কিশোরগঞ্জ / 
পৃথিবীর শিশু থেকে বৃদ্ধ মানুষের মাঝে পরিচিত নাম করোনা ভাইরাস। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশেও প্রাণঘাতী করোনা ব্যাপক আতংক ছড়াচ্ছে। কিশোরগঞ্জ জেলায় ২৫ মে পর্যন্ত ২৭৭ জন এই মহামারীতে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৮ জন। কঠিন এই বাস্তবতায় করোনা দুর্যোগে তিন হাজার অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশংসায় ভাসছেন মাখন এন্ড ব্রাদার্স এর প্রতিষ্ঠাতা ও শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্রের ভাইস চেয়ারম্যান জেলা সদরের চিকনিরচর গ্রামের তরুণ ব্যবসায়ী জামিলুর রহমান মাখন।
তরুণ এই ব্যবসায়ীর মানবিকতায় হাসি ফুটেছে দুস্থ, অসহায় আর কর্মহীন পরিবারের মানুষের মুখে।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের পূর্ব মূহূর্তে আরো এক হাজার পরিবারে মানবিক এই কার্যক্রম সম্পন্ন করে জায়গা করে নিয়েছেন হাজারো পরিবারের অন্তরে।
করোনাভাইরাস মহামারীর দুর্যোগে দুস্থ, হতদরিদ্র, কর্মহীন ও নিম্ন আয়ের মানুষজন যখন দিশেহারা, ঠিক তখনই মানবিক সহায়তা নিয়ে তাদের পাশে দাড়িয়ে মানবাতার এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তরুন এই ব্যবসায়ী।
মে মাসের শুরুতেই এই ব্যবসায়ী কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার নিজ ইউনিয়ন কর্শাকড়িয়াইল ছাড়াও জেলা শহর, পার্শ্ববর্তী উপজেলা পাকুন্দিয়া ও কটিয়াদীসহ বিভিন্ন উপজেলার দুই হাজার নিম্ন মধ্যবিত্ত, শ্রমজীবী ও অসহায়-দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
এছাড়া করোনা মোকাবেলায় নিজ জেলা কিশোরগঞ্জের সম্মুখযোদ্ধা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ ও প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জন্য উন্নতমানের পিপিই, হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক ইত্যাদি সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান করেছেন।
জামিলুর রহমান মাখনের সরাসরি তত্বাবধানে ইমাম, মুয়াজ্জিন, নিম্ন মধ্যবিত্ত, শ্রমজীবী ও অসহায়-দরিদ্রসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার এক হাজার পরিবারসহ মোট তিনহাজার পরিবারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঈদ উপহার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।
অসহায় মানুষগুলোর ঘরে ঈদের আনন্দ এনে দেওয়ার জন্য তারা জামিলুর রহমান মাখনের জন্য দোয়া ও তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং মাখন সর্ম্পকে চিকনিরচর এলাকাবাসীরা জানান, জনসম্মুখে মাখনকে খুব একটা দেখা না গেলেও সব সময় মানুষের বিপদ-আপদে পাশে থাকেন ব্যবসায়ী মাখন। করোনার এই দুর্যোগের সময় যেভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।