Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

পাইকগাছায় আম্পানের তান্ডবে শিশুর মৃত্যু, আহত ৯৩ খুলনা

পাইকগাছায় আম্পানের তান্ডবে শিশুর মৃত্যু, আহত ৯৩

ঘুর্নিঝড় আম্পানের তান্ডবে সুন্দরবন ঘেষা উপকূলীয় পাইকগাছা উপজেলা লন্ড-ভন্ড হয়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। নানার বাড়ীতে বেড়াতে এসে ঝড়ে, দেয়াল চাপায় মিরাজ (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু সহ ৯৩ ব্যক্তি আহত হয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে ও অ-স্বাভাবিক জোয়ারের চাপে একাধিক স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেঁড়িবাধ ভেঙ্গে  এলাকার শত-শত মৎস্য ঘের, হাজারো বিঘার কৃষি ক্ষেত তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। 

ঝড়ের পর বৃহস্পতিবার সকালে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে অনেক স্থানে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ভেড়িবাধ মেরামত করা হয়েছে বলে সুত্র জানিয়েছেন। গত ৩ দিন যাবত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

বুধবার ঘুর্নিঝড় আম্পানের তান্ডবে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার চাঁদখালী ইউপির কৃষ্ণনগর গ্রামে মামার বাড়ীতে মিরাজ নামে এক শিশু ইটের দেয়াল ভেঙ্গে চাপা পড়ে মারা গেছে। এ সময় তার মা শাবনুর বেগমও আহত হয়। নিহত শিশু যশোর জেলার শার্শা উপজেলার বিশোরীপুর গ্রামের জহুরুল শেখের ছেলে। 

সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছেন, ঝড়ের প্রভাবে নদ- নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ফুট পানি উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের ২২ নং ফোল্ডারে ঝুঁকিপূর্ণ ওয়াপদার ভেড়ি বাঁধ ভেঙে পোল্ডারে পানি ঢুকে ৯টি গ্ৰাম  প্লাবিত হয়েছে। বুধবার রাতে সোনাদানা ও লস্কর ইউনিয়নের ২৩ নং পোল্ডারের লস্করের খেয়াঘাট সংলগ্ন স্থানে ১৫ ফুট ও কড়ুলিয়ার আনিছ খার ঘের সংলগ্ন স্থানে ৪০ফুট বেঁড়িবাধ ভেঙে পোল্ডারে পানি প্রবেশ করলে বহু চিংড়ী ঘের তলিয়ে গেছে। 

বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দা সাংবাদিক স্নেহেন্দু বিকাশ সহযোগীতায় স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বিকল্প বাঁধ দেওয়ায় খেয়াঘাটের ভাঙন রক্ষা পায়। একই সময়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোফাজ্জেল ও গ্রামবাসির প্রচেষ্টায় ভাঙন কবলিত বাঁধ মেরামত করেন। এর পুর্বে  সোলাদানা ইউপির বয়ারঝাপায় ইউপি চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হক ও গড়ইখালীর ক্ষুতখালীতে প্যানেল চেয়ারম্যান আঃ ছালাম কেরু স্থানীয়দের সহায়তায় ঝুঁকিপূর্ণ ভেড়িবাধে বালির বস্তা ও মাটি দিয়ে মেরামত করেণ।  

এদিকে ঘুর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে পাইকগাছার বহু শিক্ষা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান  ঘরবাড়ি ভেঙ্গে তছ নছ হয়েছে। গদাইপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের বাবুল শরীফের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে  প্রায় ৫/৭ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আলী জানান, সরকারি ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা চিহ্নিত করে সহায়তার ব্যবস্তা করা হবে । আমি সহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রাথমিক সাহায্য করা হয়েছে।