Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

যন্ত্রপাতি বিকল ও লোকসানের ভারে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ছাতক সিমেন্ট কারখানা সুনামগঞ্জ

যন্ত্রপাতি বিকল ও লোকসানের ভারে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ছাতক সিমেন্ট কারখানা

সুনামগঞ্জের ছাতকে ১৯৩৭ সালে আসাম বেঙ্গল সিমেন্ট কারখানা নাম নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বিভিন্ন সময় মালিকানা বদল হয়ে দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ড্রাষ্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) আওতায় এসে ছাতক সিমেন্ট কোম্পানী লিমিটেড নাম করন হয়ে অর্ডিনারী পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট ওপিসি, রেপিড হার্ডেনিং সিমেন্ট আরএইচসি ও সালফেট রেজিষ্টেন্ট সিমেন্ট এসআরসি সহ ৩ ধরনের সিমেন্ট উৎপাদন হত এ কারখানায়। এসআরসি সেতুর পিলার তৈরীতে, আরএইচসি রেলের স্লিপার তৈরীতে এবং ওপিসি আবাসন তৈরীতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু নানামুখী ষড়যন্ত্র আর অনিয়ম দুর্নীতির কারনে এবং ৭০ বছরের পুরাতন যন্ত্রপাতির সংস্কার কাজ না করায় দেশের একমাত্র ওয়েট প্রসেসের রাষ্ট্রায়ত্ত¡ এ কারখানাটিতে স্থায়ী ভাবে বন্ধ হতে চলছে সিমেন্ট উৎপাদন। কারখানাটি বন্ধ হলে বেকার হয়ে পড়বে প্রায় ৮ শ স্থায়ী শ্রমিক কর্মকর্তা কর্মচারী ও দুই শতাধিক অস্থায়ী শ্রমিক। প্রতিদিন ২৫০ টন উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন কারখানাটিতে গত মাসে কোন সিমেন্ট উৎপাদন হয়নি। শ্রমিকদের অভিযোগ প্লান্টের আশে পাশে জমে থাকা ক্লিংকার দিয়ে স্বল্প মাত্রায় সিমেন্ট উৎপাদন করলেও ক্লিন দু’টির সংস্কার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী ভাবে আর সিমেন্ট উৎপাদন করতে সক্ষম হবে না কারখানা কর্তৃপক্ষ। জালালাবাদ গ্যাসের বিল ও ভারতের চুনাপাথর খনি কর্তৃপক্ষের কাছে ঋণের বুঝা মাথায় নিয়ে কারখানার শ্রমিক কর্মচারীদের ২ মাসের অভার টাইমের টাকা না দিতে পারায় শ্রমিকরা বিভিন্ন সময় কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী নিয়ে আন্দোলনে নামে। 

কারখানার উৎপাদন বিভাগীয় প্রধান অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রসায়ন আক্তারুজ্জামান জানান সিমেন্ট উৎপাদনে কিছুদিন ধরে ত্র“ুটি হচ্ছে। বিস্তারিত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বলতে পারব না। বিক্রয় শাখার কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াহিদ জানান কারখানার যন্ত্রপাতি গুলি পুরাতন হয়ে যাওয়ায় নিয়মিত সিমেন্ট উৎপাদন না হওয়ায় সাময়িক ভাবে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাসানাত আহমদ চৌধুরী জানান আমরা সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি সিমেন্ট উৎপাদনের জন্য। 

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সদস্য ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান শাওন জানান কারখানাটি স্থায়ী ভাবে বন্ধ হলে শ্রমিক কর্মচারী ছাড়াও এলাকায় বেকারদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে কর্মসংস্থানের মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটবে। 

এই বিভাগের অন্যান্য খবর