Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

ভার্চুয়াল কোর্ট যুগান্তকারী, নতুন অধ্যায় সূচনার আইন আইন ও আদালত

ভার্চুয়াল কোর্ট যুগান্তকারী, নতুন অধ্যায় সূচনার আইন

করোনা মহামারির মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সসহ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আদালতের কার্যক্রম চালানোর অধ্যাদেশ যুগান্তকারী উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এটি বাংলাদেশের নতুন অধ্যায় সূচনার আইন।

অধ্যাদেশ জারির পর দিন অনলাইনে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তার মাধ্যমে ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপে সাংবাদিকদের কাছ থেকে প্রশ্ন নিয়ে রোববার (১০ মে) এক ভিডিও বার্তায় এমন মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী।
 
গত ৭ মে মন্ত্রিসভায় ভার্চুয়াল কোর্ট চালুর অনুমোদনের পর শনিবার (৯ মে) এ কোর্টের অধীন বিচারকাজ চালু করতে অধ্যাদেশ জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।

ভিডিওবার্তায় আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে রূপান্তরের কাজ ১৯৯৬ সাল থেকেই শুরু করেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল এ ডিজিটাল বাংলাদেশের আওতায় সব অফিস এসে যাবে। ই-জুডিশিয়ারি করার জন্য একটি প্রকল্পও নেওয়া হয়েছিল, তার কাজেই এগিয়ে যাচ্ছিল।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রকোপে সীমিত পরিসরে আদালত খোলা থাকলেও আদালতের সব কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ‘তাই ভার্চুয়াল কোর্ট করে আমাদের বিচারকাজ চালিয়ে যাওয়ার যে উদ্দেশ্য এবং ডিজিটালি সেটাকে করার যে পরিকল্পনা ছিল সেটাকে এগিয়ে এনে আমরা ভার্চুয়াল কোর্ট আরও আগে তৈরি করার পদক্ষেপ নিয়েছি। এ পদক্ষেপকে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে আনার জন্য অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।’

আইনমন্ত্রী বলেন, এ অধ্যাদেশে সুপ্রিমকোর্ট, হাইকোর্ট এবং নিম্ন আদালগুলোতে ট্রায়াল, বিচারিক অনুসন্ধান, দরখাস্ত, আপিল শুনানি, স্বাক্ষ্যগ্রহণ, আর্গুমেন্ট এবং আদেশ বা রায় দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এ অধ্যাদেশে বলা আছে, এ ক্ষমতাগুলো একটি প্র্যাকটিস ডাইরেকশনের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতি প্রয়োগ করবেন। প্র্যাকটিস ডাইরেকশনের প্রয়োজন এজন্য যে, এখন আমাদের বিচারিক আদালতে সাংবিধানিকভাবে বিচারকার্য বিশেষভাবে ফৌজদারি বিচারকার্য চালানোর জন্য আসামি, সাক্ষীর এবং আইনজীবীদের সশরীরে উপস্থিতি প্রয়োজন। দেওয়ানি মামলায়ও সাক্ষীর স্বশরীরে উপস্থিতি প্রয়োজন।
 
আইনমন্ত্রী বলেন, সেক্ষেত্রে অধ্যাদেশের একটি ধারায় বলা হয়েছে, ভার্চুয়াল উপস্থিতি সশরীরে আদালতে উপস্থিতি হিসেবে গণ্য হবে। এ কারণে ফৌজদারি কার্যবিধি এবং দেওয়ানি কার্যবিধি বা অন্য কোনো আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন এ অধ্যাদেশ দ্বারা সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগ এবং প্রধান বিচারপতি প্র্যাকটিস ডাইরেকশনের মাধ্যমে আদালতের কার্যপ্রণালী সেট করে দিয়ে বিচারকার্য চালাতে পারবেন।

তিনি বলেন, স্বাক্ষ্য আইন সংশোধন হওয়ার পরে এ অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিচারিক কাজগুলোও শুরু করা যাবে। তখন নিম্ন আদালত এবং বিচারিক আদালত এ মাধ্যম ব্যবহার করে ট্রায়াল, স্বাক্ষ্যগ্রহণ এবং আর্গুমেন্ট শুনে রায় দিতে পারবেন।

ডিজিটালি বিচার কার্যক্রম চালানোয় কারো কোনো অভিজ্ঞতা নেই জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, কারণ কাজ শুরুই হয়নি। আমি শুনেছি যখন আমরা এ অধ্যাদেশ করার চিন্তাভাবনা শুরু করছিলাম তখন একটি প্রশিক্ষণ কাজও শুরু করা হয়েছে, যার আওতায় বিচারক এবং ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়েছেন। এজন্য স্বল্প পরিসরে তারা জামিন শুনানি এবং অন্যান্য মামলার শুনানি করতে পারবেন।