Opu Hasnat

আজ ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০২৪,

মুন্সীগঞ্জ বড় বাজার স্থানান্তর, সামাজিক দুরত্ব মানছেনা কেউ মুন্সিগঞ্জ

মুন্সীগঞ্জ বড় বাজার স্থানান্তর, সামাজিক দুরত্ব মানছেনা কেউ

মুন্সীগঞ্জ জেলায় দিন দিন বেড়েই চলছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তাই সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে মুন্সীগঞ্জ শহরের বড় বাজার স্থানান্তর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) থেকে শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে মাছ বাজার ও সবজি বাজার স্থানান্তর করা হয় । কিন্তুু আইনশঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের মধ্যেও জনগনের অসচেতনতায় জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে প্রথম দিন থেকেই বুধবার (২২ এপ্রিল) অমান্য করা হয়েছে।

স্থানান্তর করা বাজারে সকালে মানুষের উপচে পড়া ভীড় সচেতন মহল ওও প্রশাসনকে বিস্মিত করেছে। সচেতন মহল বলছে, জেলা শহরটিতে এখনই সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা না হলে মুন্সীগঞ্জ করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে। তাই এই প্রানঘাতি করোনা দূর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনকে আরও কঠোর হওয়ার মতামত ব্যক্ত করেছে।

অন্যদিকে, প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে মানুষের ঘর থেকে বের হওয়া থামছেই না। অনেকে সুরক্ষা মাস্ক ব্যবহার করছে না। বাজার গুলোতে কেউ মানছে না সমাজিক কিংবা শারীরক দূরত্ব। গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সিএনজি, অটোরিক্সা, ব্যাটারি চালিত রিক্সায় যাত্রী বহন থেমে নেই।

মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন সেনাবাহিনী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদরা প্রতিদিন বিরামহীন চেষ্টা চালিয়ে গেলেও জেলা ও শহরবাসীর অসচেতনতায় সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে হিমশিম খাচ্ছে।

মানুষকে ঘরে থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বার বার অনুরোধ করা হচ্ছে। মানুষকে দফায় দফায় বুঝিঁয়ে বাড়িতে-বাসায় থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরাও। জেলা ও উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত ইউপি সদস্যসহ বেশ কয়েকজনকে অর্থদন্ড দিলেও জেলা ও উপজেলা গুলোতে বসবাসরত মানুষ তারপরও সচেতন হচ্ছে বলেই বিভিন্ন এলাকা ঘুরে লক্ষ্য করা গেছে।

অপরদিকে, মুন্সীগঞ্জ জেলা লকডাউনে থাকলেও এখনও প্রতিদিন জেলার প্রধান প্রবেশদ্বার মুক্তারপুর সেতু দিয়ে পায়ে হেঁটে ঢাকা-নারায়গঞ্জ আসা যাওয়া অব্যাহত রেখেছে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। কেউ ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক, কেউ মিশুক আবার ও কেউ ব্যাটারিচালিত রিক্সায় চড়ে চলে আসছেন এবং যাচ্ছেন বলে একািধক অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ প্রসঙ্গে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায় বলেন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহযেগিতায় সার্বক্ষনিক বিরামহীন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যা এখনও চলমান রয়েছে। জেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষকে দফায় দফায় বুঁঝিয়ে নিজ নিজ ঘরে থাকার পরামর্শসহ বাইরে থেকে বাড়িতে পাঠালেও ভ্রাম্যমান আদালত ও পুলিশ সদস্য স্থান ত্যাগ করলেই আবারও অযথা ঘুরো ফেরা করছে। এছাড়া জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন বাজার গুলোতে দ্রব্যমূল নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে মনিটরিং করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সমাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেটদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রশাসন ও পুলিশের কঠোর তৎপরতার পরও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ সচেতন হচ্ছে না বলে বিস্মিত হতে হয়।