Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

মাইজপাড়ায় ভিজিডি’র চাল দিতে ঘুষ নিয়ে বিপাকে চৌকিদার ! নড়াইল

মাইজপাড়ায় ভিজিডি’র চাল দিতে ঘুষ নিয়ে বিপাকে চৌকিদার !

নড়াইলে ভিজিডি’র চাল দেয়া বাবদ ঘুষ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চৌকিদার মোতালেব। স্থানীয় লোকজনের চাপের মুখে পড়ে তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঘুষের টাকা ফেরত দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। 

জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) নড়াইল সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ হতে ভিজিডি’র চাল দেয়া হয়। চাল দেয়ার সময় প্রায় ২শ জন ভিজিডি’র কার্ডধারির নিকট হতে ২৫ টাকা করে উৎকোচ নেন মোতালেব চৌকিদার। মাল আনা বাবদ খরচের কথা বলে এই টাকা উত্তোলন করেন। টাকা তোলার সময় বাঁধা দেন নড়াইল-২ আসনের সাংসদ মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার প্রতিনিধি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন। বাঁধা দেয়ায় তার সাথে চৌকিদার মোতালেব এর বাক বিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে বিষয়টি মিডিয়া কর্মীরা জেনে যায়। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি চেয়ারম্যানের নিদের্শে টাকা তোলার কথা স্বীকার করে সকলের টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমা চান। ওই দিনই ভিজিডি কার্ডধারিদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে অধিকাংশের টাকা ফেরত দেন। টাকা ফেরত দেয়ার সময় তাদের নিকট ক্ষমা চেয়ে এ বিষয়ে কাউকে কিছু না জানানোর জন্য অনুরোধ করেন। 

মাইজপাড়া ইউনিয়নের কালুখালি গ্রামের রেখা, তারাশি গ্রামের জবেদা, রামেশ্বরপুরের সাবিনা, জাহানারা সহ আরোও অনেকে জানান, চৌকিদার মোতালেব মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) ভিজিডি’র চাল দেয়ার সময় তাদের নিকট হতে ২৫ টাকা করে নিয়েছিল। সেই টাকা আবার ফেরত দিয়েছে। তবে এর আগেও প্রতিবার চাল নিতে গেলে টাকা দিতে হয়েছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নে প্রায় ২শ জন ভিজিডি কাডধারি আছেন। তাদের প্রত্যেককে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চালের এক বস্তা চাল দেয়া হয়। প্রতিবারই এদের নিকট হতে মাল আনার খরচের নামে এই টাকা নেয়া হয়। 

চৌকিদার মোতালেব টাকা তোলার কথা স্বীকার বলেন, টাকা তোলা অন্যায় হয়েছে। ভবিষ্যতে আর এমন হবে না। মাইজপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান জানান, তিনি বিষয়টি জানার পর সকলের টাকা ফেরত দিয়েছেন। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা সেলিম জানান, ঘটনাটি তিনি জানেন না, তবে খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবেন। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন পিপিএম জানান, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার নির্দেশে তিনি ইউনিয়ন পরিষদ ও ডিলারদের মাধ্যমে চাল বিতরনের বিষয়টি নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষন করছেন। ইতোমধ্যে একাধিক ইউপি সদস্য ও ডিলারকে চাল চুরির অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা করা হয়েছে।