Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

গাবখান সেতু, গাড়ি না চলায় টোল উত্তোলনকারীরা ঝিমাচ্ছে ঝালকাঠি

গাবখান সেতু, গাড়ি না চলায় টোল উত্তোলনকারীরা ঝিমাচ্ছে

বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ঝালকাঠি জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। গত ২৫মার্চ এ লকডাউন ঘোষণার ফলে সকল ধরনের পরিবহন ও যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ঝালকাঠির ৫ম চীন মৈত্রি সেতু গাবখান ব্রিজের ইজারাদার। অন্যান্য সময়ের চেয়ে গড়ে শতকরা ২০ভাগ টোল আদায় হচ্ছে। বর্তমানে যে টোল আদায় হচ্ছে তা দিয়ে কর্মচারীদের বেতন দেয়াই দুঃসাধ্য হয়ে দাড়িয়েছে। এতে হতাশায় ভুগছেন ইজারাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইসলাম এন্ড ব্রাদার্স। 

ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, সেতুটির দৈর্ঘ্য ৯১৮ মিটার, দীর্ঘতম স্প্যান রয়েছে ১১৬. ২০ মিটার (যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ), নি¤œতম স্প্যান রয়েছে ৩০ মিটার, ২৪ টি পিলার ও ২ টি এ্যাবাটমেন্ট রয়েছে। ক্যারেজওয়ে রয়েছে ৭.৫০ মিটার। প্রতি পার্শ্বে সাইড ওয়ার্ক রয়েছে ১.২৫ মিটার। ১.৫০ মিটার ব্যাসের কাস্ট ইন সিটু বোর্ডের পাইল (অবস্থানভেদে ২টি থেকে ৯টি পর্যন্ত) ভিত্তি রয়েছে। ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স রয়েছে ১৮ মিটার। হরাইজন্টাল নেভিগেশন ক্লিয়ারেন্স রয়েছে ৭৬.২২ মিটার। ৮১ কোটি ৯৫ লাখ ৮২ হাজার টাকা ব্যয়ে এ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। “চায়না হিলোংজিয়াং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক এন্ড টেকনিক্যাল কর্পোরেশন” ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ সেতু নির্মাণ করে। এ চ্যানেল দিয়ে বাংলাদেশ ভারত প্রটোকল চুক্তির জাহাজ এবং ঢাকা-খুলনা-মংলা-চট্টগ্রাম’র পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করে প্রতিনিয়ত। সড়ক পথে ফরিদপুর-বরিশাল হয়ে ঝালকাঠির বুক চিড়ে অবস্থিত এ ব্রিজ দিয়ে খুলনা-যশোর-বেনাপোল-সাতক্ষিরা পর্যন্ত আন্তঃদেশীয় মহাসড়কের যাত্রী ও পণ্যবাহী যান চলাচল করে। ব্রিজকে ঘিরে সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে প্রস্তাবিত ন্যাশনাল ইকো পার্ক। ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতু নির্মাণের ভিত্তি ফলক উন্মোচন করে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। ২০০২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ব্রিজ’র উদ্বোধন করেন। 

ইজারাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইসলাম এন্ড ব্রাদার্স এর পক্ষে টিটু তালুকদার জানান, সড়ক পথে ফরিদপুর-বরিশাল হয়ে ঝালকাঠির বুক চিড়ে অবস্থিত এ ব্রিজ দিয়ে খুলনা-যশোর-বেনাপোল-সাতক্ষিরা পর্যন্ত আন্তঃদেশীয় মহাসড়কের যাত্রী ও পণ্যবাহী যান চলাচল করে। ৩ বছর মেয়াদী চুক্তিতে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা প্রাক্কলন মূল্যে ইজারা নেয়া হয়েছে। সাড়ে ৭ কোটি টাকা এবং শ্রমিকদের বেতনসহ ৯কোটিরও বেশি টাকা খরচ হবে। কিন্তু ২৫ মার্চ লকডাউন হওয়ায় গাড়ি খুবই কম চলাচল করছে। যারফলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে শতকরা ২০ভাগ টোল আদায় হচ্ছে। প্রতিদিন যে পরিমাণে টোল আদায় হয় তা  থেকে কর্মচারীদের বেতন দেয়াও সম্ভব হয় না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কত সময় লাগবে তারও কোন সীমা নেই। এমন অবস্থা চলতে থাকলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।