Opu Hasnat

আজ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার ২০২৪,

জগন্নাথপুরে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি, হাট বাজারে লোক সমাগম সুনামগঞ্জ

জগন্নাথপুরে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি, হাট বাজারে লোক সমাগম

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিদিনের মতো আজও বিভিন্ন স্থানে সকাল-বিকেল হাট বাজারে বহু লোক সমাগমের কারণে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েই যাচ্ছে।

এদিকে সোমবার পৌরশহর ও গ্রামগঞ্জের কেউ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করছে না। হাট-বাজারে লোকজন দল বেধে যাতায়াতসহ চুটিয়ে আড্ডা দিচ্ছে। এসব অসচেতন লোকজনকে সচেতন করতে প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও অন্য সকল আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী হিমশিম খাচ্ছে। জেলা প্রশাসকের ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গণ-বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলেও তা মানছে না কেউ। যাতায়াত করছে হাট-বাজারসহ আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে। 

দেখা যায়, নানা বয়সের মানুষ করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে অবাধে হাট-বাজার করছে। লোকজন চলাচল করছে মটরসাইকেল, ইজিবাইক, ভ্যান রিকসাসহ ছোট-ছোট যানবাহন নিয়ে। এমন দৃশ্য চোখে পড়ছে জগন্নাথপুর পৌরশহর ও উপজেলার প্রায় সর্বত্র। জগন্নাথপুর পৌর পয়েন্ট, টিএন্ডটি রোড, সবজি বাজার, মাদ্রাসা পয়েন্ট, মধ্য বাজারসহ বিভিন্ন স্থানের হাট-বাজারে লোক সমাগম দেখা যায়। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে বহু মানুষ ভিড় করছে। জগন্নাথপুর ও গ্রামগুলোতে গোপনে বা প্রাকাশ্যে চলছে চায়ের দোকানে আড্ডা, মাঠে খেলাধুলা করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি জেনেও অনেকে বিরূপ মন্তব্য করে বসে গ্রামের মানুষ। 

এছাড়াও গণপরিবহণ বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন রুটে যানবাহনে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাস। রান্নার কাজে ব্যবহারের জন্য তৈরি এলপি গ্যাস ব্যবহার করে উপজেলার বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও এইচপাওয়ার নামক গাড়ী। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, সহকারি পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) মাহমুদুল হাসান চৌধুরী বলেন, আমরা সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে। কিন্তু যারা সচেতন হচ্ছে না তাদের জন্য আইনের প্রয়োগ আরও বাড়িয়ে দেয়া হবে। জরিমানার হার বাড়াতে হবে। আর আমরা সেটা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা আইন প্রয়োগ করছি সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য। সকলের চেষ্টা করে যাচ্ছে সম্মিলিত সহযোগিতায় করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি থেকে জগন্নাথপুর উপজেলাকে রক্ষা করতে সকলের ঐকান্তিক সহযোগিতায় আমরা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারব এবং থানা পুলিশের উদ্যোগে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে জনসচেতনতা আরো বৃদ্ধির লক্ষে বিভিন্ন হাট-বাজার ও গ্রামগুলোতে মাইকিং করা হচ্ছে। অনেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজের অজুহাতে বাইরে বের হচ্ছেন। তাদেরকে সর্তক করা হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও ওষুধের দোকান ছাড়া সকল ধরণের মার্কেট বন্ধ রাখা। আমরা আইনের মধ্য থেকেই আইন ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিব। এছাড়া লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাস চালিত গাড়ীগুলোর সত্যতা যাচাই বাচাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও অন্য সকল আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী দেখে দৌড়ে চলে যাওয়া, পুলিশ চলে গেলে রাস্তায় হাট-বাজারে দাড়িয়ে থাকা, বসে আড্ডা দেওয়া। চুর পুলিশ খেলা বন্ধ করুন। এখনো সময় আছে নিজ বাসায় অবস্থান করুন। প্লিজ আপনারা ঘরে থাকুন। আমরা পুলিশবাহিনী মাঠে আছি।

এই বিভাগের অন্যান্য খবর