Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

সৈয়দপুরে সরকারি ২ লাখ টাকার গাছ কেটে সাবার নীলফামারী

সৈয়দপুরে সরকারি ২ লাখ টাকার গাছ কেটে সাবার

করোনার প্রকোপের ডামাডোলের মধ্যেই সড়কের সরকারি গাছ কাটার ধুম পড়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নে। স্বয়ং ইউপি চেয়ারম্যানের হুকুমেই চলছে গাছ নিধনের কাজ। এ নিয়ে সাধারণ গ্রামবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলেও বিন্দু মাত্র তোয়াক্কা নেই গাছ কাটার সাথে সংশ্লিষ্টদের। ফলে গাছ কাটা বেড়েই চলেছে এ গ্রামীন জনপদে। 

জানা যায়, ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের তেলিপাড়ায় গত ১ এপ্রিল সকালে সড়কের পাশের একটি ইউক্যালিপটাস গাছ কাটে ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে পরিচিত মোহায়মেনুল ইসলাম ঝন্টু। প্রায় ২০ হাজার টাকা মূল্যের এ গাছটি  বনবিভাগের। এর আগে একই এলাকার তেঁতুলতলার একটি আকাশমনি গাছ কাটে একই ব্যক্তি। এটিও বনবিভাগের বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। এসময় তার সহযোগি ছিল এলাকার গাছ ব্যবসায়ী জোনাব আলী পাইকার, আজমল ও রজ্জব। 

ইতোপূর্বেও ইউনিয়নের কবিরাজপাড়ায় সেলিম নামে এক ব্যক্তি একাই কেটে নেয় প্রায় ১৫টি ইউক্যালিপটাস গাছ। তাছাড়া রবিউল নামে অপর ব্যক্তি কাটে ১২ টি গাছ। এগুলো সবই বনবিভাগের হলেও সে বিষয়ে উপকারভোগীদের কোন রকম রেজুলেশন বা বনবিভাগের অনুমতি ছাড়াই কাটা হয়। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান অবগত থাকলেও নিরবতা পালন করেন। ফলে একের পর এক রাস্তার পাশের গাছ কেটে শেষ করছে প্রভাবশালীরা। এ পর্যন্ত ওই ইউনিয়নে প্রায় ২ লাখ টাকার গাছ কেটে বিক্রি করে নিজের পকেটে ঢুকিয়েছে গাছ খেকোরা বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। 

সরকারী এসব গাছ কাটার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে মোহায়মেনুল ইসলাম ঝন্টু জানান, চেয়ারম্যানের হুকুমেই গাছ কাটা হয়েছে। এগাছগুলো স্থানীয় ত্রানের সরকাীল বাড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত হবে। 

ইউপি চেয়ারম্যান মো. জুয়েল চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, গাছ কাটার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। তবে যদি সড়কের গাছ কাটা হয় তাহলে অবশ্যই বনবিভাগের অনুমতি সাপেক্ষে এবং উপকারভোগীদের সমিতি কর্তৃক রেজুলেশন করেই কাটা হয়েছে। এক্ষেত্রে আমার কিছুই করার নাই।

সৈয়দপুর সামাজিক বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সায়খুল ইসলাম জানান, গাছ কাটার বিষয়ে আমার কাছ থেকে কোন প্রকার অনুমতি নেওয়া হয়নি। যদি সড়কের উপর লাগানো বনবিভাগের গাছ কাটা হয়ে থাকে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।