Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

সৈয়দপুরে শিশু শিক্ষার্থী মাস্ক বিক্রি করে সংসার সামলাচ্ছে নীলফামারী

সৈয়দপুরে শিশু শিক্ষার্থী মাস্ক বিক্রি করে সংসার সামলাচ্ছে

নভেল করোনা ভাইরাস বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে সংসার চালাতে মাস্ক নিয়ে বাজারে বিক্রি করছে শিশু শিক্ষার্থী। তা থেকে যে আয় হচ্ছে তা দিয়েই চলছে ৫ সদস্যের পরিবারের ভরন পোষন। নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কে এমন দৃশ্যই দেখা যায়। 

কথা হয় মাস্ক বিক্রিরত শিশু হিমু আক্তারের সাথে। সে জানায়, তার বাড়ি শহরের নয়াবাজার এলাকায়। তার বাবা মুন্না। যিনি পেশায় একজন রং মিস্ত্রি। বাবার আয়ে দিন আনে দিন খায় অবস্থায় চলে তাদের সংসার। বিগত কয়েকদিন যাবত করোনার প্রভাবে দেশব্যাপী সকল কার্যক্রম স্থগিত করায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে তার বাবা। এতে চরম বিপাকে পড়েছে পুরো পরিবার। সারাদিনে একমুঠো খাবারের জন্য দিশেহারা সকলে। এমতাবস্থায় হিমু স্থানীয়ভাবে তৈরি মাস্ক নিয়ে বিক্রি করছে।

হিমু জানায়, সে শহরের নতুন বাবুপাড়া বদিউজ্জামান লেন এ অবস্থিত ওব্যাট স্কুলের ছাত্রী। এসময় তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। বাবাও কর্মহীন। তাই সংসারের ব্যয় নির্বাহের জন্য একটা উপায় করতেই বাধ্য হয়েছে চলমান সময়ে চাহিদা সম্পন্ন পন্য মাস্ক নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে। তার কাছ থেকে পথচারীরা কিনছে প্রয়োজনীয় এ পন্যটি। প্রতিটি মাস্ক ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা মূল্যে বিক্রি করছে হিমু। এতে প্রতিদিন তার দেড় থেকে ২ শ’ টাকা লাভ হচ্ছে। যা দিয়ে চলছে তাদের ৫ জনের অভাব অনটনের সংসারের খাদ্য চাহিদা। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাসিম আহমেদ জানান, উপজেলার হতদরিদ্র মানুষের তালিকা করা হচ্ছে। এর একটি পৌরসভা কর্তৃক অন্যটি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে। পৌরসভা যদি ওই শিশুটির পরিবারকে তালিকাভুক্ত না করে তাহলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তালিকাভুক্ত করে সাহায্য প্রদানের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের মাস্ক বিক্রি করে সংসার চালানো শিশু শিক্ষার্থীর হিমুর পাশে দাঁড়িয়েছেন পৌর মেয়র অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেন সরকার। করোনার প্রভাবে বাবার কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবারের খাবার জোটাতে ঝুঁকির মধ্যেও মাস্ক বিক্রি করে অর্থ উর্পার্জনের বিষয়টি জানতে পেরে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অসহায় ওই পরিবারটির দিকে। তাৎক্ষনিকভাবে হিমু ও  তার বাবাকে বাজারে নিয়ে গিয়ে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি মসুর ডাল, আধা কেজি তেল,  ১ কেজি লবন কিনে দেন সাংবাদিকের মাধ্যমে। 

এই বিভাগের অন্যান্য খবর