Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

শিমুলিয়া ঘাটে ঝুকি নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে ঘরেফেরা মানুষ মুন্সিগঞ্জ

শিমুলিয়া ঘাটে ঝুকি নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে ঘরেফেরা মানুষ

করোনা ভাইরাসের ঝুকি  নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে হাজার হাজার যাত্রী। দক্ষিনবঙ্গের ২১ টি জেলার প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী নৌরুটে ঘরফেরা যাত্রীদের ঢল। দেশব্যাপী করোনা সংক্রমন ঠেকাতে সতর্ক থাকলেও এ রুটে পারপারে প্রতিযোগিতায় লেগেছে হাজার হাজার মানুষ । 

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী নৌ-রুটে জীবনের ঝুকি নিয়ে ট্রলারে করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে আটকে পড়া যাত্রীরা। এদৃশ্য যেন  সরকারী ছুটি পেয়ে  ঈদের আনন্দে ছুটে চলছে তারা। 

নৌ-রুটে বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃক লঞ্চ, সি-বোট বন্ধ করার পড়েই এ ঘাটে আটকে পড়েছে হাজার হাজার যাত্রী। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শিমুলিয়া ফেরী ঘাট আদায় করছে অতিরিক্ত ভাড়া। জন প্রতি ১০০ থেকে ৩০০ টাকা ভাড়া  নিচ্ছে তাদের কাছ থেকে এবং এসব আটকে পড়া লোকজন ট্রলারে করে জীবনের ঝুকি নিয়ে পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছে। 

সরেজমিনে শিমুলিয়া ফেরী ঘাট ,লঞ্চ ঘাট ও সি-বোট ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, কাঠালবাড়ী, মাঝিকান্দি ও মাছ ধরার অসংখ্য অবৈধ ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছে। এসময় অবৈধ ট্রলার চালানোর অভিযোগে মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাড়ির সদস্যরা ৫ জনকে আটক করে।

উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান জানান, ঘরমুখো যাত্রীদের ভীড় ছিল  ঈদের চেয়ে বেশী। করোনা সংক্রমন থেকে রক্ষা পেতে তাদের কে মাইকিং করে নিরাপদ দুরুত্বে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় এবং অবৈধ ট্রলার গুলো বন্ধ করে দেই এবং  চালকসহ ৫ টি ট্রলার আটক করি । যাত্রীদের সচেতনতাও ঝুকি এড়াতে ফেরীতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, ঘাটে ফেরী চলাচল করলেও পারাপারের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে ৫ শতাধিক যানবাহন। আর এসব যানবাহনের সারি শিমুলিয়া ঘাট থেকে কুমারভোগ পর্যন্ত পৌছেছে। এর মধ্যে প্রাইভেটকার, এ্যাম্বুলেন্স ও পন্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি। আটকে পড়া এসব যাত্রীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের বাসগুলো বন্ধ না করে শুধুমাত্র লঞ্চ, ফেরী ও সি-বোট বন্ধ করায় দূর্ভোগের মাত্রা বেড়েছে বহুগুন । ঢাকা থেকে বাসগুলো আগে বন্ধ করে দিয়ে পরে ফেরী, লঞ্চ ও সি-বোট চলাচল বন্ধ করলে আর যাত্রীদের দূর্ভোগ হতোনা।

এদিকে,  গত মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) দুপুরে শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী নৌরুটে সব ধরণের ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডাব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। তবে যাত্রীর অতিরিক্ত চাপ থাকায় এ রুটে সব ধরণের ফেরি চলাচল অব্যাহত রয়েছে তবে যে কোন মুহুর্তে বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বিআইডাব্লিউটিসি মাওয়া সহকারী মহা ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম।

তিনি আরো জানান, ঘাটে যানবাহনের চাপ থাকায় এখনও এ রুটে ১৪ টি ফেরি যানবাহন পারাপার করছে। সকাল থেকেই ছোট গাড়ির সংখ্যা বেশি রয়েছে। 

বিআইডাব্লিউটিএ (মাওয়া) পোর্ট অফিসার শাহআলম জানান, লঞ্চ ও স্পীড বোট বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।