Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৫১৬ আন্তর্জাতিক

করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৫১৬

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৫১৬ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫২ জন। এ ছাড়া ৭৭ হাজার ৭৫৩ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে দুনিয়াজুড়ে মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। উৎপত্তিস্থল চীনে সরকারি হিসাবেই এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৮৬০। এর মধ্যে ৩ হাজার ২১৩ জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছে ৬৭ হাজার ৭৫৮ জন।

ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ৭৪৭। এর মধ্যে ১ হাজার ৮০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছে ২ হাজার ৩৩৫ জন।

ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় ওপরের সারিতে থাকা অন্য দেশগুলোর মধ্যে ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের নাম উল্লেখযোগ্য।

করোনাভাইরাস আতঙ্কে ইতোমধ্যেই যুক্তরাজ্যের রাজপ্রাসাদ বাকিংহাম প্যালেস থেকে দেশটির রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আপাতত স্বামী ফিলিপকে নিয়ে উইন্ডসর ক্যাসেলে উঠেছেন তিনি। সাময়িক সময়ের জন্য সেখানেই কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন তারা।

ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতালিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রায় সব দোকান। ভারতও প্রায় সব ধরনের ভিসা বন্ধ করেছে। টুইটার তার কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছে, অফিসে না এসে বাড়ি থেকে কাজ করতে। পণ্য ও মানুষের চলাচলে এতো রকম নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাণিজ্য। আশঙ্কা করা হচ্ছে, করোনা ভাইরাস মহামারীর জেরে শিগগিরই বিশ্ব অর্থনীতিতে ঘনিয়ে আসতে পারে বিপর্যয়। শুরু হতে পারে ভয়াবহ মন্দা।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বেশ কিছু শহর ও এলাকাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স কোম্পানির বিমান চলাচল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন স্পোর্টস ইভেন্ট। দোকানে ভিড় করে মানুষ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করছেন। তাদের আশঙ্কা, কিছুদিন পর দোকানপাট একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে। ইয়ারদেনি রিসার্চ ইনকর্পোরেটেডের প্রতিষ্ঠাতা এড ইয়ারদানি লিখেছেন, ‘করোনা ভাইরাসের মহামারির জেরে শিগিগরই শুরু হতে পারে অর্থনৈতিক মন্দা।’

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরের একটি বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। একপর্যায়ে এ ভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি (হেলথ ইমার্জেন্সি) ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।