Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

পাপিয়া ও তার স্বামী ১৫ দিনের রিমান্ডে আইন ও আদালত

পাপিয়া ও তার স্বামী ১৫ দিনের রিমান্ডে

নরসিংদীর যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর পৃথক তিন মামলায় পাঁচ দিন করে মোট ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তাদের সহযোগী সাব্বির খন্দকার ও শেখ তাইবা নূরকে এক মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

সোমবার ঢাকার পৃথক দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।

এদিন বেলা দেড়টার কিছু আগে চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আদালতের এজলাসে তোলা হয় তাদের। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে রিমান্ড শুনানি শুরু হয়।

প্রথমে বিমানবন্দর থানায় করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি হয়। এ মামলায় চার আসামির ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কায়কোবাদ কাজী। রাষ্ট্রপক্ষে তাপস কুমার পাল, আজাদ রহমান, হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন।

আসামিদের পক্ষে ইলতুৎমিশ সওদাগর, কলিম মৃধা, কামাল হোসেন প্রমুখ আইনজীবী রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিন প্রার্থনা করেন। তারা বলেন, আসামিদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশ আছে। ৪৮ ঘণ্টা পর তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আইনবহির্ভূতভাবে তাদের রেখে দিয়েছে। তাদের নির্যাতন করেছে।

তারা বলেন, বলা হচ্ছে, মেয়েদের নিয়ে ব্যবসা করার কথা। কোনো মেয়ে তো অভিযোগ করেনি। এসব নাটক ছাড়া আর কিছু না। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাদের মামলায় জড়ানো হয়েছে। আসামিদের রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিন প্রার্থনা করছি।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উর রহমান জামিন নামঞ্জুর করে ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এরপর শেরেবাংলা নগর থানার দুই মামলার বিষয়ে শুনানি হয়। এ দুই মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান আসামি। মামলা দুটি দায়ের করেন র‌্যাব-১ এর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার শফিকুল ইসলাম।

এ দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই সুধাংশু সরকার এ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

প্রথমে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর অন‌্য দুই মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালতে রিমান্ড শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ২০ দিনেরই রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করা হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, আসামিদের আটক করে ৪৮ ঘণ্টা কোথায় রাখা হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি। পুলিশ ও র‌্যাব বলছে, আসামিদের সঙ্গে নিয়ে তাদের বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু আসামিরা বলছে, তাদের বাসায় নেয়া হয়নি। আর যা উদ্ধার করার তা তো উদ্ধার হয়ে গেছে। রিমান্ডে নিলে আর কোনো অগ্রগতি হবে না। মূলত রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে তাদের মামলায় জড়ানো হয়েছে। রিমান্ড বাতিলপূর্বক তাদের জামিনের প্রার্থনা করছি।

শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।