কালকিনিতে পুলিশের বাঁধায় ছাত্রদলের কর্মসূচি পন্ডের অভিযোগ মাদারীপুর / 
মাদারীপুরের কালকিনিতে ছাত্রদলের মতবিনিময় সভায় পুলিশের বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের অভিযোগ, জেলা সদর ও কালকিনি উপজেলায় ছাত্রদলের কোন নেতাকর্মীদের অবস্থান করতে দেয়নি পুলিশ। এমনকি পুলিশের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ তোলা হয়। তবে পুলিশের দাবি ছাত্রদলের কর্মসূচির বিষয় তারা কিছুই জানেন না।
ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ছাত্রদলের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা মাদারীপুরে আসেন। বুধবার দুপুরে মাদারীপুর সদর ও কালকিনিতে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ছাত্রদল। দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার চৌরাস্তায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রথম মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সকাল থেকেই সেখানে অবস্থান নেয়। পরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা দলে দলে সভায় যোগ দিতে আসলে সভাস্থলে যাওয়ার আগেই তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পরে বিকেল ৫টার দিকে কালকিনি উপজেলার বালুরমাঠে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে উপজেলা ছাত্রদল। একই ভাবে তাদের কর্মসূচিতেও বাঁধা দেয় পুলিশ।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহিন মৃধা, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি অহেদুজ্জামান আবদুল হাই ও সাধারন সম্পাদক শিকদার মামুন অভিযোগ করে বলেন, ‘সকালে কালকিনি পৌর এলাকার ঝাউতলা গ্রামে বালুর মাঠে এক মতবিনিময় সভার জন্য প্যান্ডেল করলে পুলিশ গিয়ে আমাদের প্যান্ডেল ভেঙ্গে ফেলে। পরে পুলিশ প্যান্ডেলের চেয়ার-টেবিল নিয়ে যায়। এমনকি দলের নেতাকর্মীরা সভায় যেন কোন ভাবেই যোগ দিতে না পারে তার জন্য পুলিশ একই স্থানে সারাক্ষণ অবস্থান নিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। একই ভাবে মাদারীপুর সদরেও তাঁরা আমাদের কর্মসূচি পালন করতে বাঁধা দেয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে জেলা পুলিশের কাছে সভার অনুমতি চেয়ে একটি লিখিত আবেদন করি। পুলিশ আমাদের তাৎক্ষণিক মৌখিক অনুমতি দিলেও পরে তারা আমাদের কর্মসূচিতে বাঁধা দেয়।’
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোক্তাদির হোসেন তরু বলেন, ‘আমরা ছাত্রদলকে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তুলতে মাদারীপুরে আসি। আমাদের উদ্দেশ্যে ছিল এখানে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা করবো। কিন্তু পুলিশ তা করতে দিলো না। কারণ পুলিশ এখন আর জনগণের নেই, তারা আওয়ামী লীগের হয়ে গেছে। পুলিশলীগ হয়ে বিএনপির সকল কর্মসূচিতে বাঁধা দিচ্ছে।’
এ বিষয় জানতে চাইলে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরউদ্দিন মৃধা বলেন, ‘ছাত্রদলের কোন প্রোগাম বিষয় আমরা কিছুই জানি না। আমরা ডিউটিতে ছিলাম। তখন তাদের কর্মসূচি দেখে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিয়েছে। তবে অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল ভেঙ্গে চেয়ার-টেবিল নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পুরো মিথ্যা।