খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে রাজ পথে নামা ছাড়া উপায় নেই : মওদুদ নড়াইল / 
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে এবং দেশের গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হলে রাজপথে নামা ছাড়া কোন উপায় নেয়। রাজপথে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমেই দেশের গণতন্ত্রকে এবং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।
নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামরুজ্জামান কামালের দায়ের করা একটি মানহানি মামলায় জামিন নিতে নড়াইলে এসে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে আদালত চত্ত্বরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন তিনি।
ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ আরো বলেন, আমার মনে হয় বিচারকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না বলেই খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। খালেদা জিয়া একটি মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলায় কারাভোগ করছেন। বার বার আমরা আদালতের কাছে তার (খালেদা জিয়ার) জামিন চাইলেও জামিন হচ্ছে না। সরকার বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করছে বলেই খালেদা জিয়া মুক্তি পাচ্ছেন না।
এ সময় কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগাঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, নড়াইল জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জহুরুল হক কামাল, মো. ওয়াহিদুজ্জামান, বাহার কালান্দার, যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক আলী হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার রিজভী জর্জ, যুবদলের জেলা সভাপতি মো. মশিয়ার রহমান, সাধারন সম্পাদক সায়দাত কবীর রুবেল, কৃষকদল নেতা মো. নবীর হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক খন্দকার ফসিয়ার রহমান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফরিদ বিশ্বাস, সাধারন সম্পাদক খন্দকার মাহমুদুল হাসান সানিসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির একটি মামলায় জামিন নিতে নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিতে যান ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ। নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নীলুফার শিরিন ওই মামলায় জামিন দেন তাকে। ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদের পক্ষে আদালতে জামিন চান সাবেক জিপি অ্যাডভোকেট গোলাম মোহাম্মদ, অ্যাডভোকেট আব্দুল হকসহ অন্যান্য সিনিয়র আইনজীবীরা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১লা ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ। ওই অনুষ্ঠানে অধুনালুপ্ত ‘দৈনিক আমার দেশের’ ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও তাহার পরিবার সম্পর্কে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্ম্পকে আপত্তিকর ও মানহানিকর বক্তব্য দেন। এ সময় বিএনপি নেতা ব্যাবিষ্টার মওদুদ আহম্মেদ এবং বাংলাদেশ ডেমেক্রেটিক কাউন্সিল ঢাকার সভাপতি এমএ হালিম ওই বক্তব্য সমর্থন জানিয়ে হাততালি দেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ‘দৈনিক আমার দেশের’ ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বাংলাদেশ ডেমেক্রেটিক কাউন্সিল ঢাকা এর সভাপতি এমএ হালিম এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদের নাম উল্লেখ করে ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর নড়াইল সদর আমলী আদালতে মামলা করেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামরুজ্জামান কামাল। পরবর্তীতে মামলার চার্জশীট থেকে এমএ হালিমের নাম বাদ দেয়া হয়। ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদের উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে কয়েকশত বিএনপির নেতামকর্মী কোর্ট চত্ত্বরে উপস্থিত হয়।