Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

ইউজিসি’র অনুমোদন নেই বশেমুরবিপ্রবি ইতিহাস বিভাগের ক্যাম্পাস

ইউজিসি’র অনুমোদন নেই বশেমুরবিপ্রবি ইতিহাস বিভাগের

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন ব্যতিরেকেই পর্যাপ্ত ক্লাসরুম ও শিক্ষক সংকটের মধ্য দিয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ইতিহাস বিভাগ। কিন্তু ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকেই ভর্তি কার্যক্রম এবং পাঠদান চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিভাগের। 

এমতাবস্থায়, অনুমোদন ব্যতিরেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হওয়া ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন প্রাপ্তির দাবিতে সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ভুক্তভোগী ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে আয়োজিত এ বিক্ষোভ সমাবেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গোল চত্বর (জয় বাংলা চত্বর), প্রশাসনিক ভবন, হল চত্বর এবং শহীদ মিনারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে ক্যাফেটেরিয়ার সামনে এসে শেষ হয়। 

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানান, ‘আমরা ২০১৭-১৮ থেকে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ অবধি বিভাগটিতে সর্বমোট ৪২৪ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত থাকলেও বিভাগটির ইউজিসি কর্তৃক এখন পর্যন্তও কোনো অনুমোদন না থাকায় আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি এবং ফলশ্রুতিতে, আমাদের একাডেমিক শিক্ষা কার্যক্রমও বিভিন্নভাবে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। এর পূর্বে আমরা ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানতাম, আমরা বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার অ্যান্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ (বিলওয়াবস) ইনস্টিটিউটের আওতায় অধ্যানরত রয়েছি; তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন অপসারণ আন্দোলন শুরু হলে সেসময় আমরা অবগত হয় যে, বিভাগটি ইউজিসি কর্তৃক অনুমোদিত নয়। একই সাথে বিলওয়াবস ইনস্টিটিউট থেকে উচ্চতর ডিগ্রি প্রদানের নিমিত্তে এখানে স্নাতক ডিগ্রি প্রদানের কোনোই সুযোগ নেই। তাই বর্তমানে আমরা এ নিয়ে শঙ্কিত ও দ্বিধার মধ্য দিয়ে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রমও সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করতে পারছি না।’

উল্লেখ্য, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. মোঃ শাহজাহানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ইউজিসি’র সভায় এ বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।