Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

মুন্সীগঞ্জে ১৮ ঘন্টার ব্যবধানে চাচী-ভাতিজার মৃত্যু, করোনার শঙ্কা ! মুন্সিগঞ্জ

মুন্সীগঞ্জে ১৮ ঘন্টার ব্যবধানে চাচী-ভাতিজার মৃত্যু, করোনার শঙ্কা !

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার যশলদিয়া গ্রামে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১৮ ঘন্টার ব্যবধানে চাচী ভাতিজার মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে আটটার দিকে ওই গ্রামে শামীমা বেগম (৩৪) মারা যান এবং রবিবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে একই পরিবারের মীর জুয়েলের ভাই মীর সোহেলের ছেলে আব্দুর রহমান (৩) মারা যায়। এরা দুইজনই আকস্মিক জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে জানা গেছে।

মীর জুয়েল ও মীর সোহেলের চাচাত ভাই মীর শিবলী জানান, সকালে আকস্মিক জ্বরে আক্রান্ত হন ভাবী। ধীরে ধীরে তার শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। একই সঙ্গে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাল লাল ছোপ দেখা দেয়। জ্বর আসার ঘন্টা খানেকের ব্যবধানে তিনি মারা যান। পরে ভাতিজা আব্দুর রহমান আকস্মিক জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রবিবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে মারা গেছে। আব্দুর রহমান জ্বরে আক্রান্ত হলে মুহুর্তে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাল লাল ছোপের চিহ্ন ফুটে উঠে। ধীরে ধীরে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। ঘন্টা খানেকের ব্যবধানে মৃত্যুকোলে ঢলে পড়ে।

তিনি আরো জানান, আমরা স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক দেখিয়েছিলাম। কিন্তু, ঢাকায় নেওয়ার সুযোগ পাইনি। গতকাল বিকালে ভাবীকে দাফন করি। সোমবার দুপুরে দাফন করি ভাতিজাকে। তারা কোন রোগে মারা গেল বুঝতে পারছিনা। আজ প্রশাসনের লোকজন ও ডাক্তাররা এসেছিলেন। কিন্তু, ডাক্তাররা রোগ সম্পর্কে কিছু বলতে পারেনি। 

লৌহজং উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান,  সোমবার সকালে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। শিশু ছেলের মরদেহ সকালে দাফন করা হয়। রোববার ঐ শিশুর চাচী মারা গিয়েছিল। তবে, স্থানীয়দের কেউ কেউ আতংকিত এটা ভেবে যে চীনের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তারা মারা যেতে পারে। কিন্তু, স্থানীয় ডাক্তাররা আমাকে জানিয়েছে মরদেহে যে সকল লক্ষণ দেখতে পেয়েছে তাতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবার সম্ভাবনা নেই। আসলে ঐ বাড়ির পাশে যশলদিয়া পানি শোধনাগারে কিছু চীনা লোক কাজ করে। এছাড়াও পদ্মা সেতু প্রকল্পেও চীনারা কাজ করছে। সে কারনে এমন আতংক ছড়াতে পারে।

মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, ডাক্তারদের একটি টিম নিহতদের বাড়িতে গিয়েছে। তবে, আমাদের যা মনেহয় তাতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবার কথা নয়। কারন, চৌদ্দ দিনের মধ্যে যদি তাদের কেউ চীন থেকে আসত তাহলে আমরা সেরকম কিছু মনে করতাম। আসলে, লৌহজং এ কিছু প্রকল্পে চীনারা কাজ করে। সেখান থেকে করোনা ভাইরাস এই এলাকায় ছড়াতে পারে বলে অনেকে আগে থেকে আতংকিত। হঠাৎ জ্বরে এই দুইজনের মৃত্যুর পর স্থানীয়দের মধ্যে আতংক হতে পারে।