Opu Hasnat

আজ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার ২০২৪,

চরভদ্রাসনে ভুবেন্বশ্বর নদী দখল করে দোকানঘর নির্মানের অভিযোগ ফরিদপুর

চরভদ্রাসনে ভুবেন্বশ্বর নদী দখল করে দোকানঘর নির্মানের অভিযোগ

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের মূল ফটকের সামনে প্রধান সড়ক ঘেষেঁ ভুবেন্বশ্বর নদী পার এলাকার সরকারি পেরীফেরী প্লটভুক্ত জমির সাথে সংযুক্ত নদী সিকস্তি খাস জমি দখল করে গত তিনদিন ধরে দোকান ঘর নির্মান করে চলেছেন স্থানীয় প্রভাবশালী আব্দুল লতিফ মোল্যার ছেলে ইয়ার আলী মোল্যা (৫০)।  উক্ত ব্যক্তি প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রায় দেড় শতাংশ সরকারি জমি জুড়ে দোকান ঘর নির্মান কাজ অব্যাহত রাখলেও কারো কোনো মাথা ব্যাথা নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

শুক্রবার বেদখলীয় জমির পাশের আরেক দোকান ঘর মালিক আব্দুস সাত্তার ও শওকত হোসেন জানান, “গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তা সরোজমিনে গিয়ে বেদখলীয় নদীর সরকারি জমির খালের অংশের উপর দোকান ঘর নির্মানের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এই নিষেধ অমান্য করে একই দিন বিকেলে রহস্যজনক কারনে পুণরায় দোকান ঘর নির্মান কাজ বহাল তবিয়তে চলছে এখন। অথচ একই সারির অন্যান্য দোকান ঘর মালিকরা সরকারের কাছ থেকে পেরীফেরী প্লটভুক্ত অর্ধ শতাংশ করে জমি বন্দোবস্ত নেওয়ার পর রাস্তার ঢালে নদী সিকস্তি জমির এক ফুটও ছাড় পায় নাই।   

এ ব্যপারে চরভদ্রাসন ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশীলদার) আবু বক্কার ছিদ্দিক জানান,  বেদখলীয় দেড় শতাংশ জমির মধ্যে ১৬৪ নং চরভদ্রাসন মৌজার ০১ নং খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত অর্ধ শতাংশ পেরীফেরী প্লটভুক্ত জমি। কিন্ত দখলদার একই সীমানার মেইন রাস্তার ঢাল অংশের নদীর মধ্যে আরও এক শতাংশ সহ মোট প্রায় দেড় শতাংশ সরকারি জমি জবর দখল করে ঘর নির্মান করে চলেছে। আর নদী সিকস্তি জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার কোনো বিধান নাই বলেও তিনি জানান। 

একই দিন সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দখলদার রাস্তা ঘেষেঁ টিনের বেড়া দিয়ে আটকিয়ে ভিতরে ২০/২৫ জন লেবার ও মিস্ত্রী নিয়োগ করে দ্রুত দোকান ঘর নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। 

ইয়ার আলী মোল্যার মোবাইলে ফোন করলে তার স্ত্রী লুনা বেগম জানান, জমিটি আমাদের কেনা রশিদ খলিফার কাছ থেকে নয় বছর আগে। যতুটুক ঘর উঠানো হচ্ছে ঠিক ততখানি জমিই কিনেছি। আমার মামা আসলাম মোল্যা এই জমি কিনে দেয়। ভেঙ্গে গিয়েছিলো সেটি মেরামত করছি এখন। যে অভিযোগ উঠেছে সেটি সত্য নয় বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন প্রশাসন নির্মানাধীন দোকান ঘর জমির লীজ বন্দোবস্তোর জন্য আবেদন জমা দিতে বলেছে আমি ডিসিআরের জন্য আবেদন জমা দিয়ে দোকান ঘর নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। সরকারী যে নিয়ম রয়েছে সেটি মেনেই নির্মান কাজ চলছে। 

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ফারজানা নাসরীন বলেন, গত বৃহস্পতিবার দখলদার পেরীফেরী প্লটভুক্ত অর্ধ শতাংশ জমি বন্দোবস্ত নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এ অবস্থায় ডিসিআর দেওয়া যাবে কিনা সেটা আমাদের বিবেচনার ব্যাপার। তিনি আরও বলেন দখলীয় নদী সিকস্তি এক শতাংশ জমির ওপর নির্মানাধীন দোকান ঘর ভেঙে ফেলার জন্য দখলদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।