Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

মার্কিন হামলায় ইরানের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার কাসেম সোলেমানি নিহত আন্তর্জাতিক

মার্কিন হামলায় ইরানের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার কাসেম সোলেমানি নিহত

ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এলিট কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেমানি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া নিহত হয়েছেন পিএমইউ সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহানদিসও। 

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) পেন্টাগনের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে কাসেম সোলেমানিকে হত্যা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন।

খবরে বলা হয়, ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন হামলায় নিহত হন কাসেম সোলেমানি। ইরান সমর্থিত ইরাকি মিলিশিয়া নেতা আবু মাহদি আল মুহান্দিসও ওই হামলায় নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও কিছু মানুষ হতাহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। 

সোলেমানির মৃত্যু সংবাদে ইরানিয়ান টেলিভিশনে এক বিবৃতিতে বিপ্লবী গার্ড বাহিনী জানায়, জীবনভর দেশকে সেবা দিয়ে যাওয়া বীর কমান্ডার কাসেম সোলেমানি শুক্রবার সকালে মার্কিন হামলায় বাগদাদ বিমানবন্দরে শহীদ হয়েছেন।

এদিকে এ ঘটনার পরপরই ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটারে মার্কিন পতাকার একটি ছবি পোস্ট করেছেন।

কাসেম সোলেমানি বর্তমান ইরান সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তার নেতৃত্বে চলা কুদস ফোর্স সরাসরি দেশটির সুপ্রিম লিডার আয়াতোল্লাহ আলি খামেনির প্রতি অনুগত। তাকে ইরানে জাতীয় বীরের মর্যাদা দেওয়া হতো।

সোলেমানি নিহত হওয়ার ঘটনায় ইরান মার্কিনিদের পাল্টা জবাব দেবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।   

গত ১৫ বছর ধরে মেজর জেনারেল কাসেম সুলাইমানি একজন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কৌশলী হিসেবে তৈরি হয়েছেন। ইরাক ও সিরিয়ায় ক্ষমতা নির্ণয়েও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের উপস্থিতি সুসংহত করতে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।

এর আগে ইরাকে মার্কিন দূতাবাসে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষোভকারীরা মার্কিন দূতাবাস লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছে। সেখানকার নিরাপত্তা চৌকিতে আগুন দিয়েছে। পরে নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বাধে।