Opu Hasnat

আজ ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ২০২৩,

পাইকগাছায় সুকুমার রিশির মৃত্যু রহস্য-৬

খবর প্রকাশের পর হত্যাকারীদের হুমকি : সুকুমারের পরিবার পালিয়ে বেড়াচ্ছে খুলনাবিশেষ সংবাদ

খবর প্রকাশের পর হত্যাকারীদের হুমকি : সুকুমারের পরিবার পালিয়ে বেড়াচ্ছে

সুকুমার হত্যাকারী ডাঃ প্রভাত ও নির্মল-এর পক্ষে জনৈক ব্যক্তি বাংলালিংক মোবাইল থেকে সাংবাদিককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছে। অন্য দিকে সংবাদ প্রকাশের পর সুকুমারের পরিবারকে নানাবিধ হুমকি অব্যাহত রেখেছে। জীবনের ভয়ে বাড়ী থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

উপজেলার মামুদকাটি গ্রামের পঙ্গু পুলিন রিশির পুত্র সুকুমারকে ¯প্রীট পান করিয়ে হত্যা করে ডাঃ প্রভাত ও নির্মল। হত্যার পর তারা বিষয়টি ধামাচাপা দিতে টাউট বিষ্ণু ও মেম্বর কুমারেশকে টাকার বিনিময় তাদের ম্যানেজ করে। কারণ তারা ২ জন সুকুমারের গ্রামের মাতব্বর। এরপর টাউট বিষ্ণু ও মেম্বর কুমারেশ হত্যাকারীর সহযোগী হিসাবে কাজ শুরু করে। এ সংবাদ সাংবাদিকরা বিলম্বে জানার পর দৈনিক কল্যাণ, অনলাইন পত্রিকা এশিয়া বার্তা ও ‘টাইমটাচনিউজ ডটকম’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে সুকুমারের মৃত্যু রহস্য প্রকাশ করছে। 

তারই ধারাবাহিকতায় হত্যাকারীরা সাংবাদিককে ম্যানেজ করার জন্য ০১৯১৪-৮৫২৯৬১ মোবাইল থেকে এ প্রতিনিধির ০১৯২৫-৫৫৭২২৫ নং মোবাইলে কল দিয়ে বিষয়টি টাকা নিয়ে চেপে যাওয়ার অনুরোধ করেন। 

এ দিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মৃত্যু সুকুমারের পিতা, মাতা, ভাই, হত্যাকারী ও তাদের সহয্গোীদের বিভিন্ন হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের সহিত যোগাযোগ করার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত ডাঃ প্রভাত দাশের কাছে ০১৯১৭-৪১৫৩৭৮ নং মোবাইলে জানতে চাইল তিনি জানান, এ সব বিষয় আমি কাউকে কিছু বলি নাই বা কারও কোন সহযোগিতা কামনা করিনি। তবে সুকুমার ¯প্রীট পানে মৃত্যু অনেক কাহিনী তাই এখন মোবাইলে বলা সম্ভব নয়। 

এ সব বিষয় পাইকগাছা থানার সাবেক ওসি (তদন্ত) শ্যামলাল বলেন, আমি পাইকগাছা থানায় থাকাকালীন এ ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি মৃত সুকুমারের লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোন মন্তব্য করা যাবে না। (চলবে)।