Opu Hasnat

আজ ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০২৪,

ঝালকাঠিতে মামলায় হেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আদালতে চাঁদাদাবীর অভিযোগ ঝালকাঠি

ঝালকাঠিতে মামলায় হেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আদালতে চাঁদাদাবীর অভিযোগ

ঝালকাঠির সদর উপজেলার লেশ প্রতাপ গ্রামে জমি সংক্রান্ত মামলা দায়ের করে হেরে গিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে চাঁদাদাবীর মামলাসহ বিভিন্ন ধরনের হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। উক্ত জমি নিয়ে আদালতে একাধিক মামলাও চলমান আছে। প্রতিপক্ষের হয়রানি থেকে বাঁচতে কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

জানাগেছে, সদর উপজেলার জেএল নং-৯৪ এর লেশ প্রতাপ মৌজার এসএ ১৯৫/৬৮ নং খতিয়ানের ৪৭৭/৪৭৯ দাগের ৬০ শতাংশ জমির দখল সত্ত্ব চেয়ে মালিকানা দাবী করে সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে কালু মুন্সি ওরফে মনিরুল হক গংদের বিরুদ্ধে মামলা (নং-১০৯/০৪) করেন ওয়াজেদ আলী হাওলাদার। মামলাটি পর্যালোচনা ও স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক মোঃ এনায়েত উল্যাহ ২০১৮ সালের ২ আগস্ট খারিজ করে দেন। সেই সাথে বিচারক বিবাদী পক্ষের মামলার খরচ প্রদানেরও আদেশ দেন বাদী পক্ষকে। বাদী ওয়াজেদ আলী হাওলাদার আদালতের রায়ের বিপক্ষে ঝালকাঠির প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে আপিল মোকদ্দমা (নং-৮১/১৮, তারিখ-১৪-১১-১৯) দায়ের করেন। উক্ত আপিল মামলায় ১ ডিসেম্বর আপিলকারী পক্ষের বিরুদ্ধে ৩দিনের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলে তাতে সময় প্রার্থনা করেন আপিলকারী। ডিসেম্বর মাসে দেওয়ানী মোকদ্দমার আদালত বন্ধ থাকায় বিরোধীয় জমিতে দালান নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করে ওয়াজেদ আলী হাওলাদার। ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শান্তি ভঙ্গের আশঙ্কা করে ওয়াজেদ আলী হাওলাদার, আব্দুল আজিজসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে মামলা (নং-৬৪৩/১৯, তারিখ-১২-১২-১৯ইং) দায়ের করেন মনিরুল হক। মামলার শুনানী শেষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিরোধীয় জমিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়। সদর থানার এএসআই রাসেল মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করতে নোটিশ প্রদান করেন। ওয়াজেদ আলী হাওলাদারের পুত্র ও আমমোক্তারনামা নিয়ে মামলা পরিচালনাকারী মোঃ জালাল হাওলাদার বাদী হয়ে ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে চাঁদাদাবীসহ ১৪৩/৩৮৫/৩২৩/৫০৬ ধারায় নালিশী অভিযোগ দায়ের করেন। এতে আসামী করা হয় কালু মুন্সি ওরফে মনিরুল হক, মজিবর রহমান, নুরুল হক মুন্সি, আবু মুন্সিসহ আরো ৩/৪ জনকে। সদর থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। 

মনিরুল হক জানান, জমি সংক্রান্ত মিথ্যা দাবি নিয়ে আদালতে একের পর এক মামলা করেই যাচ্ছে ওয়াজেদ আলী হাওলাদার। আদালতকে বিব্রত এবং আমাদের হয়রানি করছে। বিচার বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হয়রানি থেকে বাঁচার আকুতি জানান তিনি।