Opu Hasnat

আজ ২৬ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

কালিয়ায় দুই বোনের ওপর এ্যাসিড নিক্ষেপের প্রধান আসামিকে গ্রেফতার না করায় জনমনে ক্ষোভ নারী ও শিশুনড়াইল

কালিয়ায় দুই বোনের ওপর এ্যাসিড নিক্ষেপের প্রধান আসামিকে গ্রেফতার না করায় জনমনে ক্ষোভ

নড়াইলের কালিয়ায় দুই বোনের ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ ঘটনার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার না করায় জনমনেতীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার রাতে কালিয়া উপজেলার বলাডাঙ্গা গ্রামের রনজিত শেখের মেয়ে লাইজু ও  লাবনীর ওপর এ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। মারাতœক আহত লাবনীকে প্রথমে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে আটক করেছে।  অভিযোগ রয়েছে অপর প্রধান আসামি শামছু প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাকে আটক করছে না।  এতে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে,প্রায় ৪ বছর আগে বলাডাঙ্গা গ্রামের রনজিত শেখের মেয়ে লাইজু খাতুনের সাথে লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া গ্রামের মেছের শেখের ছেলে শামছু শেখের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে কলহ দেখা দেয়ায় কিছুদিন আগে লাইজু খাতুন স্বামীকে তালাক দেয়। এতে  ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার রাত ৮টার দিকে শামছু ও তার এক সহযোগি লাইজুদের বাড়িতে গিয়ে ঘরের জানালা দিয়ে অ্যাসিড ছুড়ে মারে। অ্যাসিড লাইজুর শরীরে না লেগে পাশে শুয়ে থাকা তার ছোট বোন লাবনীর গায়ে লাগে। এ্যাসিডে তার মুখমন্ডল সহ শরীরের বিভিন্ন স্থান ঝলসে যায়। প্রথমে তাকে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

১৮ জুন সরেজমিন লাবনী বেগমের বাড়িতে গেলে তার বাবা রঞ্জন জানান, স্বামী-শাশ্বুড়ীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় লাইজু কিছুদিন আগে স্বামীকে তালাক দেয়। এ নিয়ে রেগে গিয়ে তারা মেয়েটাকে এ্যাসিড মেরেছে। শামছু শেখের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশিরা জানান, ঘটনার পর থেকে তারা কেউ বাড়িতে নেই।

কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শোনিত কুমার গাইন জানান, এ ঘটনায় লাবনী বেগমের মা শোভা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। মামলায় শামছু শেখ ও তার ভাই আক্তার শেখকে আসামী করা হয়েছে। আক্তার শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শামছুকে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে ।