Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

সুনামগঞ্জ আ’লীগকে ধবংস করতে বেইমান মোস্তাকের পেতাত্মারা এখনো সক্রিয় সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জ আ’লীগকে ধবংস করতে বেইমান মোস্তাকের পেতাত্মারা এখনো সক্রিয়

সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুট বলেছেন, সুনামগঞ্জ হচ্ছে রাজনীতি ও শিক্ষার উর্ব্বর জায়গা। এই জেলায় জন্ম নেয়া স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন মরহুম আব্দুস সামাদ আজাদ, বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, কমরেড বরুণ রায়, মরহুম হুমায়ূন রশিদ চৌধুরী ও বর্তমান পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নানের মতো ক্ষণজন্মা মানুষজন। তারা এই জেলার সন্তান হিসেবে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি হয়ে বর্হিবিশ্বে নেতৃত্ব দিয়ে এই জেলার সম্মানকে উজ্জল করেছেন। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী জাতির পিতার খুব কাছের মানুষ বেইমান খন্দকার মোস্তাকের নেতৃত্বে  বিপদগামী কিছু সেনা অফিসার ও স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে হাত মিলিয়ে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার মধ্যে দিয়ে তৎকালীন স্বাধীন বাংলার উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করতে চেয়েছিল। তারা তখন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করে জাতির পিতার হত্যাকারীদের যাতে বিচার কার্য পরিচালনা করা না যায় সেজন্য সংসদে একটি কালো আইন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল। কিন্তু স্বাধীনতার দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর পরে হলেও তার সুযোগ্য উত্তরসূরী আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় এসে সেই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ কালো আইন সংসদে বাতিল করে স্বাধীনতা বিরোধী বেইমান মোস্তাকচক্রের পেতাত্মারা রাজাকার আলবদর ও বিপদগামী কিছু সেনা অফিসারদের বিচার কার্য শুরু করে বিচারের রায়ও ইতিমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, আজ আমার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ র্দীঘদিন ধরে অসাম্প্রদায়িকতার চেতনা নিয়ে সরকার পরিচালনা করে দেশকে বিশ্বে একটি উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। বিশ্বের মধ্যে একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ তম স্থান অধিকার করেছেন। আজকে তার উন্নয়ন কর্মকান্ডকে বিশ্বের নেতারা অনুকরণ করছেন। আজ দেশের তৃণমূল জনগনের প্রত্যাশা গ্রামকে  শহরে পরিণত করার লক্ষ্যে প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। কোন পরিবারের ছেলেমেয়েরা যেন শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয়, কেহ যেন না খেয়ে মারা না যায় সে লক্ষ্যে গরীব ও মেধা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ, শিক্ষা ভাতা উপ বৃত্তি প্রদানসহ বিনামূল্যে বই বিতরণ করে যাচ্ছেন। আজ তার অক্লান্ত পরিশ্রম দেশের গ্রামগঞ্জের রাস্তাঘাট স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দৃশ্যপঠ বদলে দিয়েছেন। তিনি (মুকুট) ছাত্রজীবনে  প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতি ছাত্র ইউনিয়ন করেছেন এবং কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে এ জি এস পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বলেন মোনাফেক বেইমান খন্দকার মোস্তাকচক্রের প্রেতাত্মারা এখনো সুনামগঞ্জে আওয়ামীলীগ নিয়ে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করে অপপ্রচার চালাচ্ছে তার পরিবারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করে মুকুট আরো বলেন,তার বাবার জীবদ্দশায় তিনি ন্যাপ করেছেন এবং মরহুম আব্দুস সামাদ আজাদের হাত ধরে আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর পূর্বে তিনি জেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তিনি বা তার  পরিবার যদি স্বাধীনতা বিরোধীই হতেন তাহলে স্বাধীন বাংলার প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতির পিতার ঘনিষ্ট সহচর মরহুম আব্দুস সামাদ তাকে কিভাবে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে অংশগ্রহনের মাধ্যমে সাধারন সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্টিত করেন এমন প্রশ্ন সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। 

তিনি আরো বলেন, যদি আমি বা আমার পরিবার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি না হতাম তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে গণভবণে ডেকে নিয়ে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি কেন করেন এমন প্রশ্ন ও রাখেন তিনি। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন তিনি  এবং তার পরিবার স্বাধীনতা বিরোধী ছিল যদি কেহ এমন প্রমান দিতে পারেন তাহলে তিনি রাজনীতি থেকে চিরদিনের জন্য স্বেচ্ছায় সরে যাওয়ার ও ঘোষনা দেন। তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন আজ সুনামগঞ্জে ও বেইমান মোস্তাকের গুটি কয়েকজন পেতাত্বারা রয়েছেন যারা আমাকে রাজনীতির মাঠ থেকে বিতাড়িত করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গাতে আমার ও আমার পরিবার নিয়ে মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালাচ্ছেন তারাই আসল মোস্তাকের গুপ্তচর। তারা এই সংগঠনের নীতি ও আদর্শকে পূজি করে সুনামগঞ্জে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে আওয়ামীলীগে বিভাজন সৃষ্টির পায়তারা করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। ঐ সমস্ত গুটি কয়েক দুষ্ট লোকের হীন চক্রান্ত সুনামগঞ্জের মানুষ ভাল করেই জানেন। তার বিরুদ্ধে ট্র্যাইব্যুানালে অভিযোগ দেয়া হয়েছিল। তদন্ত কর্মকর্তারা তদন্ত করেও প্রমাণ দেখাতে পারেননি যে তিনি এবং তার পরিবার যে স্বাধীনতা বিরোধী ছিলেন তিনি তদন্ত প্রতিবেদনের কপি সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন। তাহলে কেন এই সমস্ত দুষ্টুচক্রের দ্বারা মিথ্যা এমন প্রপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। সুনামগঞ্জের সুনাম ধরে রাখতে আগামীতে সুনামগঞ্জ থেকে তৈরী হবে আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো একেকজন প্রধানমন্ত্রী। তাছাড়া পরিকল্পনামন্ত্রীসহ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে এই জেলার সন্তানরা একদিন অধিষ্ঠিত হয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। 

রোববার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ কর্তৃক জেলায় এস এস সি ও এইচ এস সি পাশ মেধাবী শতাধিক ছাত্রছাত্রীর মাঝে নগদ অর্থ ও সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জ জেলা পরিসদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট এসব কথা বলেন।  জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এড. আপ্তাব উদ্দিন, বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এড. আলী আমজদ, সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ পরিমল কান্তি দে, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বাবু যোগেশ্বের দাস, জেলা পরিষদের সদস্য ফৌজিআরা বেগম শাম্মী, সদস্য মোঃ আব্দুল শহীদ প্রমুখ। 

পরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে নগদ অর্থ ও সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দেন অতিথিরা। 

এই বিভাগের অন্যান্য খবর