Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

নড়াইলে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ঋণ দেয়ার প্রলোভন দিয়ে লাখ লাখ টাকার প্রতারনা নড়াইল

নড়াইলে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ঋণ দেয়ার প্রলোভন দিয়ে লাখ লাখ টাকার প্রতারনা

নড়াইলে আমার বাড়ি আমার খামার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ঋণ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। নড়াইল সদর উপজেলার শেখহাটি গ্রামের চিহ্নিত প্রতারক রাজ্জাক সরদার  এবং জাকারিয়া সরদার নিজেদের ওই প্রকল্পের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত প্রতারনা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। 

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সরজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, শেখহাটি গ্রামের ইয়াছিন সরদারের ছেলে রাজ্জাক সরদার এবং রুহুল সরদারের ছেলে জাকারিয়া সরদার এলাকার চিহ্নিত প্রতারক ও টাউট। তারা নিজেদের আমার বাড়ি আমার খামার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে ঋণ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাধারন ও ক্ষুত্র ব্যবসায়ীদের নিকট হতে ২ থেকে ৫ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছেন। বিশ্বাস ও গ্রহন যোগ্যতা বাড়াতে নগদ টাকা নেয়ার পর ফরম পূরন করে তাদের মোবাইলে ম্যাসেজ দিচ্ছেন। এতে তাদের প্রতি আস্থা বিশ্বাস সৃষ্টি হচ্ছে। দিনের পর দিন ঘুরে ঋণ না পাওয়ায় তারা বুঝতে পারছেন প্রতারনার শিকার হয়েছেন। এমনকি আমার বাড়ি আমার খামার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের নড়াইল সদর অফিসে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থরা জানতে পারেন রাজ্জাক ও জাকারিয়া ওই অফিসে কোন পদে চাকুরী করেন না। এ দুই প্রতারকের ফাঁদে পা দিয়ে সদরের শেখহাটি ও কলোড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। 

নড়াইল সদরের কলোড়া ইউনিয়নের মুশুড়িয়া গ্রামের মঙ্গল বিশ্বাসের নিকট হতে ২ হাজার ৫শ ৫০ টাকা নিয়েছেন ১ লাখ টাকা ঋণ দেয়ার জন্য। একই ভাবে সদরের শেখহাটি ইউনিয়নের দেবভোগ গ্রামের পরিমল বিশ্বাস, শ্রীবাস বিশ্বাস, উর্বাশা বিশ্বাস, জটাধর বিশ্বাস, ছোট বিশ্বাসসহ অনেকের নিকট হতে ২ হাজার ৫শ ৫০ টাকা করে নিয়েছেন ১ লাখ টাকা করে ঋণ দেয়ার জন্য। এ গ্রামের গনেশ অধিকার কে বড় করে ঋণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। তাদের মত শেখহাটি, নিরালী, বাহিরগ্রাম ও কোড়গ্রামের অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। প্রতারনার বিষয়টি জানাজানি হলে টাকা ফেরত পেতে ক্ষতিগ্রস্থরা স্ব স্ব ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। 

শেখহাটি ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুল হোসেন’র চাপে পড়ে কয়েক জনের টাকা ফেরত দিয়েছেন। তবে অধিকাংশরাই টাকা ফেরত পান নি। টাকা ফেরত দেয়ার ভয়ে এবং পুলিশ আতংকে এ দুই প্রতারক গা ঢাকা দিয়েছেন। একটি সূত্রের দাবি এ প্রতারনা সাথে আমার বাড়ি আমার খামার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শেখহাটি এলাকার দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত মাঠকর্মী তিতাস জড়িত। তার সহযোগিতায় প্রতারকরা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। যার বড় একটি অংশ মাঠকর্মী তিতাসের পকেটে গেছে। এদিকে গ্রামের অসহায় হতদরিদ্র সহজ সরল মানুষেরা তাদের টাকা ফেরত পেতে বিভিন্ন মহলে ধর্না দিচ্ছেন। 

এদিকে আমার বাড়ি আমার খামার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক’র শেখহাটি এলাকার দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত মাঠকর্মী তিতাসের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, রাজ্জাক ও জাকারিয়া ভালো মানুষ। যারা ঋণ পাবে না, তাদের টাকা ওরা ফেরত দিয়ে দিবে। 

আমার বাড়ি আমার খামার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের নড়াইল সদর উপজেলা সমন্বয়কারি মিতালী বিশ্বাস জানান, ঋণ পেতে কোন ঘুষ লাগে না। যদি কেউ অফিসের বাইরে অবৈধ লেনদেন করে, তার দায়িত্ব অফিস নেবে না।