Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

লোহাগড়ায় তথ্য যাচাই শেষে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ মুক্তিবার্তানড়াইল

লোহাগড়ায় তথ্য যাচাই শেষে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ

নড়াইলের লোহাগড়ায় পুনরায় তথ্য যাচাই বাছাই শেষে সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ ভবনের দেয়ালে প্রকাশিত তালিকায় নিজের এবং স্বজনদের নাম আছে কিনা তা দেখতে ভিড় করেন অনেকেই। প্রকাশিত ওই তালিকায় তিন ক্যাটাগরিতে মোট ১৭১জনের নাম ঠাঁই পেয়েছে। এর মধ্যে কমিটি কর্তৃক মঞ্জুরকৃত আবেদনের নামের তালিকায় রয়েছেন ১৩১ জন। সেখানে মন্তব্য/ফলাফলের ঘরে লেখা আছে যাচাই অন্তে সঠিক মুক্তিযোদ্ধা। মুজিবনগর কর্মচারী দাবিদারের আবেদনের তালিকাও প্রকাশ করা হয় সেখানে। সেই তালিকায় রয়েছে ৬ জনের নাম। মন্তব্য করা হয়েছে মন্ত্রণালয়ে অথবা জামুকায় সংরক্ষিত মুজিবনগর কর্মচারী তালিকা যাচাই পূর্বক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যেতে পারে। এছাড়া ভারতীয়  তালিকাভুক্ত দাবিদারদের তালিকায় ৯ জন এবং বিভিন্ন বাহিনীর আবেদনের তালিকায় ২৫ জনের নাম রয়েছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই করতে ৭ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা কমিটি গঠিত হয়। সেই কমিটি তথ্য যাচাই বাছাই করে ৬৪৭জন মুক্তিযোদ্ধাদের নাম নতুন ভাবে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকা ভুক্ত করতে সুপারিশ পাঠায় জামুকায়। পরে ওই তালিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্কের সৃষ্টি হলে ৩০ অক্টোবর থেকে পুরনায় তথ্য যাচাই বাছাই শুরু করেন তিন সদস্যের নতুন কমিটি। নতুন কমিটিতে যুদ্ধকালীন কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মো. জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুকুল কুমার মৈত্রকে সদস্য সচিব ও মুক্তিযোদ্ধা শিকদার মাহফুজুর রহমান সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ভাতা ভোগী মুক্তিযোদ্ধা তবিবর রহমান। গ্রাম রামকান্তপুর। তিনি বলেন অবশেষে পুনরায় যাচাই কৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আশা করছি বাদ পড়ে যাওয়া প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা এই তালিকায় ঠাঁই পাবেন। মাকড়াইল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম মোল্যা বলেন, নতুন কমিটির সদস্যরা অত্যান্ত আন্তরিকতার সাথে বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য যাচাই করেছেন। আমাদের বিশ্বাস সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় অতি দ্রুত সুপারিশ কৃত তালিকায় থাকা মুক্তিযোদ্ধাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রিয় ভাবে স্বাীকৃতি দিবেন।

কথা হয় যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি যুদ্ধকালীন কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মো. জাহাঙ্গীর আলমের সাথে। তিনি বলেন, আমরা চুলচেরা বিশ্লেষনের মধ্য দিয়ে যাচাই বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি।