Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

ছাতকে সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে সাবাড়, হুমকির সম্মুখে পরিবেশ সুনামগঞ্জ

ছাতকে সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে সাবাড়, হুমকির সম্মুখে পরিবেশ

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের হাদাচানপুর গ্রামে জনগন ও সরকারের বন বিভাগের অংশীদার ভিত্তিতে ২০০৪-০৫ সালে ১৬ হেক্টর টিলা রকম ভূমিতে নাছিমপুর মৌজায় ২২ জন উপকার ভোগী ও সিলেট বন বিভাগের ছাতক বিট ফরেষ্টের চুক্তিভিত্তিতে নানা প্রজাতির প্রায় কয়েক হাজার বৃক্ষ রোপন করলে টিলা বন খাল আর চাষাবাদকৃত জমির সমন্বয়ে নয়নাভিরাম এ গ্রামের সৌন্দর্য্য আরো বৃদ্ধি পায়। বাড়তে থাকে পর্যটকদের আনাগোনা। স্থানীয়দের মধ্যে সুর উঠে এখানে পর্যটক স্পট গড়ে উঠলে ছাতকের মর্যাদা বর্হিবিশ্বে আরো বৃদ্ধি পাবে এবং সরকারী রাজস্ব বেড়ে যাবে। এলাকার লোকজনের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। জমি জমার দাম আরো বেড়ে উঠবে। কিন্তু স্থানীয় কতিপয় বনদস্যু, ভূমি খেকো আর টিলা ধ্বংসকারী মিলে টিলা কুড়ে পাথর তুলে সৃজিত বনের শিকড় সহ গাছ কেটে চুরি করে বিক্রি করে বৈচিত্রময় প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের এ টিলাটিকে সাবাড় করে ফেলেছে। এতে প্রাকৃতিক পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা করছেন পর্যটক ও স্থানীয়রা। গভীর বনে লুকিয়ে থাকা শিয়াল, টলা, বেজি, চিতাবাগ, সরিসৃপ সহ বিভিন্ন প্রজাতির জীবজন্তু পশুপাখির বিচরণ থাকলেও এখন এদের নড়াচড়া একে বারে কম। বন বিভাগের অসাধু কিছু কর্মকর্তাদের যোগ সাজসে  এসব ক্ষতি সাধন করে চলছে ভুমি খেকোরা। 

সম্প্রতি সামাজিক বনায়নের উপকার ভোগিরা বাদী হয়ে সহকারী পুলিশ সুপার ছাতক সার্কেল বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বন দস্যু ও টিলা ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে। এতে বিবাদী করা হয় হাদাচানপুর গ্রামের হরমুজ আলীর ছেলে আকবর আলী, নেছার আলীর ছেলে জয়নাল মিয়া, দিলাল মিয়া, তুরাব উল্যাহর ছেলে দিলোয়ার হোসেন কে অভিযুক্ত উল্লেখ করা হয়। বিবাদীরা টিলার পাথর খুড়ে ও গাছ কেটে চুরি করে বিক্রি করে সরকারের প্রায় ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও প্রশাসন থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে না। অভিযোগকারী উপকার ভোগী সৈয়দ তিতুমীর, মতচিছর আলী ও আনছার আলী জানান, টিলার পাথর উত্তোলনকারী বন দস্যুরা টিলা খুড়ে পাথর উত্তোলন করে সৃজিত বাগানের গাছ কেটে নেয়ায় পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি ছাড়াও সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব হারাচেছ এবং উপকার ভোগীদের স্বপ্ন সাধ শ্রম ও অর্থে মারাত্মক ক্ষতি করছে। 

এ ব্যাপারে ছাতক বনবিট কর্মকর্তা নিতিশ চক্রবর্তী জানান আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে, বর্তমানে পাথর উত্তোলন বন্ধ করেছি। সহকারী কমিশনার ভূমি তাপস শীল জানান, আগামীতে উপকার ভোগি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মত বিনিময় করে বনায়ন রক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। 

এই বিভাগের অন্যান্য খবর