ফেব্রুয়ারীর মধ্যেই নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর পরিবর্তন : তারানা হালিম তথ্য ও প্রযুক্তি / 
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যেই নম্বর অপরিবর্তিত রেখে গ্রাহকরা মোবাইল অপারেটর পরিবর্তনের (এমএনপি) সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
আজ (০৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় তিনি বলেন, তবে এর আগেও এমএনপি সেবা চালু হতে পারে। সর্বোচ্চ ৩০ টাকায় অপারেটর পরিবর্তন করে ৪০ দিন সে অপারেটরের সেবা গ্রহণ করা যাবে। এই সময়ের মধ্যে আর অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে না।
তারানা হালিম বলেন, একজন গ্রাহক হলেও তার অভিযোগ গুরুত্বপূর্ণ। কলড্রপসহ অন্যান্য সমস্যা হলে গ্রাহক অন্য অপারেটরে চলে যাবে। গ্রাহক ধরে রাখতে তাই অপারেটররা প্রতিযোগিতা শুরু করবে, তাদের সেবা উন্নত হবে। গ্রাহকরাও তাদের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাবেন।
তিনি বলেন, গ্রাহক সন্তুষ্টির জন্য আমরা চাই বৈধ প্রতিযোগিতা। এমএনপি চালু হলে অপারেটরদের মধ্যে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা তৈরি হবে এবং গ্রাহকরা কাঙ্খিত সেবা পাবেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, নম্বর বদল না করে গ্রাহকদের অন্য অপারেটরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে ২০১৩ সালের জুন মাসে মোবাইল ফোন অপারেটরদের নির্দেশ দেওয়া ছিল। অপারেটরদের টু-জি লাইসেন্স নবায়নের সময় গাইডলাইনে এমএনপি চালুর বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত নীতিমালা অনুমোদনের পর তা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, অনুমোদন পেলে নিলামের মাধ্যমে ১৫ বছরের জন্য একটি কোম্পানিকে লাইসেন্স প্রদান করতে দরপত্র আহ্বান করা হবে।
সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বড়জোর আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যে এমএনপি সেবা চালু করা যাবে। একটু সময় নিচ্ছি, এর আগেও চালু হতে পারে, বলেন প্রতিমন্ত্রী।
নিবন্ধিত যোগ্য কোম্পানি, বাংলাদেশি বা প্রবাসী বাংলাদেশি মালিকানাধীন কোম্পানি নিলামে অংশ নিতে পারবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদেশি কোম্পানির ক্ষেত্রে অবশ্যই বাংলাদেশি অংশীদার লাগবে। এক্ষেত্রে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ মালিকানা ৫১ শতাংশ হতে পারে।
‘নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে বাংলাদেশে লাইসেন্সধারী মোবাইল অপারেটরের মালিক, পরিচালক, অংশীদার, বিনিয়োগকারী, শেয়ার হোল্ডার কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিলামে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।’
লাইসেন্স গ্রহণের ক্ষেত্রে একাধিক দেশে ন্যূনতম তিন বছর এমএনপি সেবা প্রদানে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও জানান, বার্ষিক লাইসেন্স ফি হবে ২০ লাখ টাকা ও লাইসেন্স ইস্যুর পর দ্বিতীয় বছর হতে এমএনপি অপারেটর সরকারকে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ হারে রাজস্ব প্রদান করবে।