Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

পাট এখন বৈশ্বিক পণ্য : খন্দকার মোশাররফ ফরিদপুর

পাট এখন বৈশ্বিক পণ্য : খন্দকার মোশাররফ

এলজিআরডি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, পরিবেশগত ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করে সারাবিশ্বে প্যাকেটজাত দ্রব্য হিসেবে পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এজন্য বিশে^ আবারও পাটের চাহিদা বেড়েছে। পাট এখন শুধু বাংলাদেশেরই নয় সারাবিশ্বের পণ্য। 

শনিবার বিকেলে ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে মাসব্যাপী ব্রান্ডিং মেলার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

এসময় ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সোনালী আঁশ হিসেবে আমাদের দেশের পাট সারাবিশ্বে সমাদৃত। স্বাধীনতার আগে সারা পাকিস্তানের ৭০ ভাগ বৈদেশিক মুদ্রা আসতো এই পাট থেকে। পাটের কিছুই ফেলনা নয়। পাট শাক খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিমানসমৃদ্ধ। পাট শাক দিয়ে ইদানিং চা ও তৈরি করা হচ্ছে। আর পাটের সবশেষ যেই পাটখড়ি পাওয়া যায় সেটি পুড়িয়েও মূল্যবান কালি তৈরি হচ্ছে।

নিজের পরিধেয় কোর্টটিও পাটের পণ্য উল্লেখ করে ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, খুব শীঘ্রই পাটের তৈরি শাড়িও পাওয়া যাবে। প্যাকেটিং পণ্য হিসেবে পাট এখন অপরিহার্য সারাবিশ্বে। আমাদের দেশের এই পাটই সারাবিশ্বের সেরা।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো স্বাগত বক্তব্য দেন মেলা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আসলাম মোল্যা। 

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান বিপিএম (সেবা), জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী ও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি ফরিদপুরের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গির মিয়া (সিআইপি)। এসময় মঞ্চে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মৃধা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্যা, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী বরকত ইবনে সালাম, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আক্কাস হোসেন, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এএইচএম ফোয়াদ প্রমুখ, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজক সূত্র জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিব বর্ষ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। ফরিদপুরের ব্র্যান্ডিং পণ্য পাট ও পাটজাত বিভিন্ন দ্রব্যের স্থানীয় ও বৈদেশিক বাজার সৃষ্টি করে পাটকে বিশ্বে সমাদ্রত করাই এ মেলার লক্ষ্য। মেলায় ১শ’ ২০টি বিভিন্ন ধরনের স্টল রয়েছে। মেলায় প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা। মেলায় প্রতিদিন সন্ধায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা রয়েছে।