Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ

মোরেলগঞ্জে সহকারী শিক্ষা অফিসারকে কারন দর্শানোর নোটিশ বাগেরহাট

মোরেলগঞ্জে সহকারী শিক্ষা অফিসারকে কারন দর্শানোর নোটিশ

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী (পিইসিই) পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার অসীম কুমার সরকার কে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। যার স্মারক নং-উশিঅ/মোরেল/১৩৪৪,তারিখ- ১৯/১১/২০১৯।

উপজেলা শিক্ষা অফিাসার আশীষ কুমার নন্দীর স্বাক্ষরীত এ কারন দর্শানেরা নোটিশে আগামী ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে জবার দানে ব্যার্থ হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। 

জানা গেছে, চলতি ২০১৯ সালে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় নিশানবাড়ীয়া ক্লাষ্টারের সহকারী শিক্ষা অফিসার অসীম কুমার সরকার একক ক্ষমতা বলে ও কতিপয় শিক্ষকের যোগসাজসে অনিয়মের আশ্রয় নেয়। তিনি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির কোন তোয়াক্কা না করে ডিয়ার পরিবর্তন করে  নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের ২৪৮নং রুপচাঁদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্র থেকে  ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেটে ১০৪নং গুলিশাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়ে কেন্দ্রে স্থানান্তর করেন। তাছাড়াও তিনি নিয়ম ভেঙ্গে অন্য বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক  কেন্দ্র সচীব করেন এবং পছন্দ মত ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেটে নেন। 

২০১৮ সালে রুপচাঁদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ২৮৬ জন। ১০টি কেন্দ্র কেটে নেয়ায় ২০১৯ সালে ১৮৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে। অপরদিকে পূর্ব গুলিশাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে  ২০১৮ সালে ছিল ৩৭৬ জন এবং ২০১৯ সালে ৫২৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেন। পূর্ব গুলিশাখালী অতিরিক্ত শিক্ষার্থী হওয়ায় আসন ব্যবস্থাপনায় হিমশিম খেতে হয় কর্তপক্ষকে।

আর এ অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু তিনি বলেন একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করে নিজ স্বার্থ চরিতার্থে এধরনের অনিয়ম ও দূর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি আরো বলেন রুপচাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ৩টি কক্ষ ব্যবহার হয়নি। অপরদিকে পূর্ব গুলিশাখালী কেন্দ্রে দোতলা, তৃতীয় তলায় কষ্ট করে উঠে শিশু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে হয়েছে। এ কেন্দ্র প্রতিটি বেঞ্চে ৩জন করে শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। এধরনের অনিয়মের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবি জানান।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচীব আশীষ কুমার নন্দী বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবহিত নই। সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টারের সহকারী শিক্ষা অফিসার অসীম কুমার সরকার আমাকে না জানিয়ে অনিয়মের আশ্রায় নিয়েছে। তার এহেন অনিয়মের কারনে তাকে আমি শোকজ করেছি।  

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরীক্ষা কমিটির সভাপতি মো: কামরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। তবে উপজেলা পরীক্ষা কমিটির অনুমোদন ছাড়া কোন কেন্দ্র থেকে বিদ্যালয় পরিবর্তন করা করা যায় না। তিনি এধরনের অনিয়ম করতে পাড়েনা।