Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

বশেমুরবিপ্রবিতে পরীক্ষা দিচ্ছে না দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী! শিক্ষাক্যাম্পাস

বশেমুরবিপ্রবিতে পরীক্ষা দিচ্ছে না দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী!

পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে না গোপালগঞ্জের  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ইলেকট্রনিক অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার (ইটিই) বিভাগের প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী। আগামী ২৭ নভেম্বর তাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে আর গত ১৪ নভেম্বর ছিলো তাদের  ফরম পূরণের শেষ দিন। তারপরও ওই বিভাগের কোনো শিক্ষার্থীই ফরম পূরণ করেনি। 

এমতাবস্থায়, বিপাকে ও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। উক্ত বিভাগের শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণ না করে বিভাগ পরিবর্তনের এক দফা দাবি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে নিজেরা ক্ষতির সম্মুখীন হবে জেনেও তাদের এক দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত ইটিই বিভাগের ১৫৮ জন শিক্ষার্থী। 

উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর থেকে শ্রেণিকক্ষের সামনে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তবে ভর্তি পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে তারা কিছুদিন তাদের আন্দোলন শিথিল রেখেছিলেন এবং তাদের অভিমত তারা শান্তিপূর্ণভাবেই এই আন্দোলন কর্মসূূচি পালন করে আসছেন। তবে টানা ২৪ দিন অতিবাহিত হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে টাইমটাচনিউজ ডট কমকে জানান, ইইই বিভাগের সিলেবাসের সঙ্গে ইটিই বিভাগের সিলেবাসে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ মিল রয়েছে। কিন্তু এতদসত্ত্বেও, জব সেক্টরে বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীদের। 

এছাড়াও, পিএসসি’র প্রণিত বিসিএস পরীক্ষায় ইটিই বিভাগের জন্য স্বতন্ত্র কোনো সিলেবাসও প্রণয়ন করা হয়নি। এমতাবস্থায়, তারা ইইই বিভাগের চলমান পাঠ্যসূচি অনুযায়ী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়।

তবে বিষয়টির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে ইটিই বিভাগের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালের চলতি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান বলেন, ‘ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা এক দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছে জানতে পেরে আমি তাদেরকে ক্লাসে ফেরানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। অবশ্যই আমরা অবগত যে, সারা দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও ইটিই বিভাগ চলমান রয়েছে। ওই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি পাস করে জব সেক্টরগুলোতে ভালো চাকরি পেতে পারে তবে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাবে না কেনো এই নিয়ে আমি সন্দিহান!’