Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

বেশি জরিমানা দিলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে : সেতুমন্ত্রী জাতীয়

বেশি জরিমানা দিলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে : সেতুমন্ত্রী

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নতুন সড়ক আইনে বেশি জরিমানা মানে বেশি অর্থ নেয়া নয়। বেশি জরিমানা দিলে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। সড়কে শৃঙ্খলার জন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে। কিছু গাড়ি আছে, তারা সিটিং (সার্ভিস) লিখে রাখে। আসলে তারা সিটিং না, চিটিং সার্ভিস।

রবিবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর কুড়িলে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) অডিটোরিয়ামে ‘সড়ক নিরাপত্তা ও সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, নতুন আইন বাস্তবায়ন করা হবে। কিছু দিন শিথিল করেছিলাম সচেতনতা বাড়াতে। দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছিলাম, সেটা শেষ হয়েছে। আজ থেকে নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়নের কমতি নেই। কিন্তু, আমাদের সংকট হচ্ছে সড়কে শৃঙ্খলা। এই শৃঙ্খলা ফেরাতে সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নে যাচ্ছি। আমাদের সমস্যা হচ্ছে, কোথাও দুর্ঘটনা ঘটলে স্থানীয় জনগণ রাস্তায় নেমে আসে। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়কে বিশৃঙ্খলার জন্য মোটরসাইকেল দায়ী। তারা নিজেদের পথের রাজা মনে করে। এটা একটা উপদ্রব। আমরা যে পারি না, তা না। এখন ঢাকা শহরে কোথাও হেলমেট ছাড়া চালক-যাত্রী পাবেন না। আর যারা বাইকে হেলমেট পরে না, তারা হলো রাজনৈতিক কর্মী। এখন আগের চেয়ে উল্টো পথে চলার অভ্যাস কমেছে। ভিআইপি বিড়ম্বনাও অনেক কমেছে।

রোড সেক্টর খুব চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছি। প্রধানমন্ত্রীর ডায়নামিক নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু থেকে বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বললেন, তারা সরে গেছে, তাতে কী। বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু হবে। পদ্মা সেতু এখন দাঁড়িয়ে গেছে। আমি ১৭৯ বার সেই সেতু পরিদর্শন করেছি। ২০২১ সালেই পদ্মা সেতু খুলে দেয়া হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলাম। মৃত্যুর কাছাকাছি থেকে ফিরে এসেছি। সেই কঠিন মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মমতাময়ী মায়ের মতো পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমার প্রাণরক্ষায় দেবী শেঠি ভূমিকা রেখেছেন।

তিনি জীবনের কয়েকটি ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, ছাত্র হিসেবে ভালো হওয়ায় স্কলারশিপের টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি। আমার নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মওদুদ আহমেদ। মা বলেছিলেন, বাবা তুমি আর নির্বাচন করো না। সেটাকে আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে ১৯৯৬ সালে বিপুল ভোটে জয়লাভ করি।

তিনি বলেন, সেই নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিলেন। আমি কাজ-পাগল মানুষ। আমার সময়েই বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।