Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

পাইকগাছায় ‘বুলবুল’ মোকাবেলায় প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ খুলনা

পাইকগাছায় ‘বুলবুল’ মোকাবেলায় প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ

পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসন ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করলেও আতঙ্কে রয়েছে ঝুকিপূর্ণ এলাকার হাজার হাজার মানুষ। এদিকে পূর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শনিবার দিনভর ঝুকিপূর্ণ ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও সহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ এলাকা পরিদর্শন করে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। তবে দিনের বেলায় তেমন কাউকে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে দেখা যায়নি। সন্ধ্যার পর ঝুকিপূর্ণ এলাকার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন বলে প্রশাসন থেকে জানিয়েছেন। ঝ‚র্ণিঝড় বুলবুল রাতের যে কোন সময় উপক‚লীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে এমন সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। বুলবুলের প্রভাবে শনিবার দিনভর বৃষ্টিপাত সহ ঝড়ো হাওয়া বিরজমান ছিল। ফলে বৈরী আবহাওয়ার কারণে অনেকটাই জনশূণ্য ছিল এলাকা। ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে দৈনন্দিন সকল কার্যক্রম মারাত্মক ব্যাহত হয়। সবাই আতঙ্কের মধ্যে নিজ নিজ গৃহে অবস্থান নেয়। 

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে শনিবার সকাল থেকে দিনভর গড়ইখালী, লস্কর সহ ঝুকিপূর্ণ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিদর্শন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আলী, ইউএনও জুলিয়া সুকায়না, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম, ওসি এমদাদুল হক শেখ, ওসি (তদন্ত) রহমত আলী, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস, ইউপি চেয়ারম্যান কেএম আরিফুজ্জামান তুহিন, রুহুল আমিন বিশ্বাস, প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম কেরু ও হাঁটার সাথী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন। 

এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এলাকার ঝুকিপূর্ণ বাঁধ পরিদর্শন ও এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় করে সাধারণ মানুষকে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই নিকটস্থ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। পরে সন্ধ্যারপর ইউএনও জুলিয়া সুকায়না বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের খোঁজ খবর নেন। দুর্যোগ প্রস্তুতি প্রসঙ্গে ইউএনও জুলিয়া সুকায়না বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ৩৬টি আশ্রয় কেন্দ্র সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়েছে। মজুদ রয়েছে শুকনো খাবার, প্রস্তুত রয়েছে ১১টি মেডিকেল টিম সহ স্কাউটস ও স্বেচ্ছাসেবক সদস্যরা। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বক্ষনিক দুর্যোগ পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রতিটি এলাকায় মাইকিং অব্যাহত রয়েছে। 

ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, দুর্যোগকালীন সময়ে মানুষের জানমাল নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সরদার আলী আহসান জানান, শিশু ও প্রতিবন্ধিদের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রশাসনের সব ধরণের প্রস্তুতি থাকা সত্বেও দেলুটি, লতা, সোলাদানা ও গড়ইখালী ইউনিয়ন সহ ঝুকিপূর্ণ এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানাগেছে।