Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

দুর্বল হয়ে সুন্দরবনে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ জাতীয়

দুর্বল হয়ে সুন্দরবনে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ কিছুটা দুর্বল হয়ে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে আঘাত হেনেছে। বঙ্গোপসাগর উপকূলে দুপুর ১২টা থেকে ঝড়ো হাওয়া শুরু হলেও শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের অগ্রবর্তী অংশ সুন্দরবনের সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট অংশে আঘাত হানতে শুরু করেছে।

শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ১০০ থেকে ১২০ কি.মি. গতিতে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চরে প্রথম আঘাত হানে।

খুলনা জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বাংলাদেশের সুন্দরবন উপকূলে প্রথম আঘাত হানে। রাত পৌঁনে ১২টার দিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে এবং পরবর্তীতে দুর্বল হয়ে শনিবার মধ্য রাত নাগাদ খুলনার সুন্দরবনের পাশ দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চর থেকে রাত পৌঁনে ১২টার দিকে দুবলা ফিসারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দীন আহমেদ জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুন্দরবনের দুবলার চরে প্রথম ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানলেও এর ফলে কোনো জলোচ্ছ্বাস হয়নি। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে আড়াই ফুট পানির উচ্চতা বেড়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি সুন্দরবনের দুবলার চর উপকূল অতিক্রম করছে।

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) দুবলারচর ভিএইচএফ স্টেশনের অপারেটর মো. কাশেম জানিয়েছেন, বুলবুলের আঘাতের সঙ্গে বেড়েছে ৪ থেকে ৫ ফুট পানির উচ্চতা। এখন ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের অগ্রবর্তী অংশ সুন্দরবনের বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড, হিরণ পয়েন্ট, দুবলারচর, মেহের আলীর চর, অফিসকিল্লা, মাঝেরচর, আলোরকোল, মরণেরচরে আছড়ে পড়েছে। ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্রমেই বাড়ছে ঝড়ের তীব্রতা। তছনছ করে দিয়েছে দুবলারচরের অস্থায়ী শুঁটকিপল্লী।

দুবলারচর ভিএইচএফ স্টেশনের অপারেটর আরো জানান, বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের দুবলারচরের অস্থায়ী শুঁটকিপল্লী এলাকার আলোরকোল, মেহেরআলীর চর, মাঝেরকেল্লা, অফিসকিল্লা ও শেলারচরে ২২ বছর আগে নির্মিত হওয়া জরাজীর্ণ ৫টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে ৬ হাজারেরও বেশি জেলে আশ্রয় নিতে পেরেছে।

এ সব আশ্রয় কেন্দ্রে স্থান সংকুলান না হওয়ায় শুঁটকিপল্লীসহ ঝড়ের কারণে সাগর থেকে আসা আরও কয়েক হাজার জেলে নৌযানে করে ছোট ছোট খালে আশ্রয় নিয়েছে। ঝড়ের তীব্রতা বাড়ায় নৌযানে করে সুন্দরবনের খালে আশ্রয় নেয়া জেলেদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।