Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেন ড. ইউনূস আইন ও আদালত

আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেন ড. ইউনূস

নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জামিন দিয়েছেন শ্রম আদালত। আদালতে ড. ইউনূস আত্মসমর্পণ করলে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাকিয়া পারভীন রোববার দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন।

তিন মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল।  শ্রম আদালতে দায়ের করা দুই মামলায় তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেক মামলায় ১০ হাজার টাকা করে মোট ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায়  জামিনের আদেশ দেন।

আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা আবেদন মঞ্জুর করেন। তবে চার্জ শুনানির দিন তাকে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।

৯ অক্টোবর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এ আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে সময় চেয়ে ড. ইউনূসের পক্ষে আবেদন করা হয়। গত ২৮ অক্টোবর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিমানবন্দরে নামার পর থেকে তাকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার নির্দেশ দেন আদালত।

গত ৩ জুলাই ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের সদ্য চাকরিচ্যুত সাবেক তিন কর্মচারী। অপর দুজন হলেন- একই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ কমিউনিকেশনসে কিছু শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন করতে চাইলে তাতে বাধা দিয়ে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত তিন শ্রমিক ড. ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীনকে বিবাদী করে মামলা করেন।  মামলায় আসামিদের উপস্থিতির দিন ধার্য ছিল গত ৯ অক্টোবর।  মামলায় অপর দুই আসামি নাজনীন সুলতানা ও খন্দকার আবু আবেদীন উপস্থিত থাকলেও বিদেশে অবস্থান করায় ড. ইউনূস উপস্থিত ছিলেন না। এ কারণে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান রহিবুল ইসলাম ইউনুসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

গত ৩ জুলাই ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের সদ্য চাকরিচ্যুত তিন কর্মচারী। এরপর আদালত আসামিদের উপস্থিতির জন্য সমন ইস্যু (নোটিশ) করেন। ওই তিন মামলার বাদীরা হলেন- প্রস্তাবিত গ্রামীণ কমিউনিকেশনস শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শাহ আলম ও সদস্য এমরানুল হক।