Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

নড়াইলের সবুজ বুয়েট, রুয়েট ও ঢাবিতে চান্স পেলেও অর্থাভাবে ভর্তি অনিশ্চিত ! নড়াইল

নড়াইলের সবুজ বুয়েট, রুয়েট ও ঢাবিতে চান্স পেলেও অর্থাভাবে ভর্তি অনিশ্চিত !

সবুজ বিশ্বাস (১৮) একাধারে বুয়েট, রুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে। তবে অর্থাভাবে তার উচ্চ শিক্ষা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ছেলেকে ভর্তির টাকা দিবেন কোথা থেকে ? তা নিয়ে মহাদুশ্চিন্তায় আছেন তার বাবা-মা। নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের মিতনা গ্রামে তাদের বাড়ি। তার পিতা গৌতম বিশ্বাস একজন কৃষক। মাতা জয়ন্তী বিশ্বাস গৃহীনি। বসত বাড়ি ছাড়া তাদের চাষযোগ্য কৃষি জমি না থাকায় অন্যের জমি বর্গা চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। আগামী ৬ নভেম্বর হতে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত বিষয় নির্বাচন। ভর্তি ২ ডিসেম্বর। সবুজের ভর্তির জন্য ৩০ হাজার টাকা লাগবে, সেই টাকা তার পরিবারের পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়। এমতাবস্থায় তার ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয় ভর্তির সাথেই প্রাথমিক ভাবে যে বই খাতা ও একটি ল্যাপটপ কেনা খুবই আবশ্যক সেই সামর্থ্যও তাদের নেই। 

সবুজ সদরের তুলারামুপর মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে এসএসসি (বিজ্ঞান বিভাগ) পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ ৫ পেয়েছিল। এ বছর নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ হতে পরীক্ষা দিয়ে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করেছে। এরপর উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বুয়েট, রুয়েট ও ঢাবিতে মেধা তালিকায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। তার ইচ্ছা বুয়েটে সিভিল অথবা ম্যাকানিক্যাল-এ বিষয়ে পড়া। কিন্তু তার দরিদ্র পিতার পক্ষে এ পড়াশুনার ব্যয়ভার বহন করা একেবারেই অসম্ভব। সবুজ বিশ্বাস পারিবারিক অসচ্ছলতার মধ্যে দিয়ে নিজের চেষ্টা ও কঠোর অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে এসএসসি ও এইচএসসি’তে জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করে। সবুজ বিশ্বাস নড়াইলের রিলায়েন্স কোচিং সেন্টারের পরিচালক অসিম চক্রবর্তীর একান্ত অনুগত ও স্নেহধন্য ছাত্র। সবুজ রিলায়েন্স কোচিং সেন্টারের ওমেকা শাখার একজন ছাত্র ছিলো। শিক্ষক অসিম চক্রবর্ত্তী সম্পূর্ণ বিনা ফি’সে তাকে পড়িয়েছেন। 

শিক্ষক অসিম চক্রবর্ত্তী জানান, সবুজ অত্যন্ত মেধাবী ও ভদ্র ছেলে। একজন মেধাবী ও ভদ্র ছেলে হিসেবে এলাকায় ও কলেজে তার অনেক সুনাম। তাকে আর্থিক সাপোর্ট দিয়ে পড়াতে পারলে আশা করা যায় সে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।