Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

সাংবাদিক হারান মিত্রের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া মিডিয়াফরিদপুর

সাংবাদিক হারান মিত্রের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক খোলা কাগজ ও সিএনএন টিভির আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক হারান মিত্র গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকার মিরপুুরের আল হেলাল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩৫বছর। তার মৃত্যুতে পরিবারের স্বজন, সাংবাদিক ও সুধীমহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সাংবাদিক হারান মিত্র উপজেলার পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের চাঁদড়া গ্রাামের সুভাষ মিত্র ও সন্ধ্যা রানী মিত্রের একমাত্র ছেলে। মৃত্যুকালে সে তার ১১ বছরের ছেলে পিয়াস মিত্র ও দেড় বছরের কন্যা প্রিয়ন্তী মিত্র নামে দুই সন্তান রেখে গেছেন। 

জানা যায়, হারান মিত্র গত ১৯ অক্টোবর বিকালে আকস্মিক অসুস্থতা বোধ করলে তার পরিবারের স্বজনরা তাকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ২০ অক্টোবর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু সেখানেও তার অবস্থার কোন পরিবর্তন না ঘটলে তাকে ২১ অক্টোবর ঢাকা মগবাজার ইনসাফ বারাকাহ কিডনি এন্ড জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সবশেষ তিনি ঢাকার মিরপুরের আল হেলাল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রাতেই তার মরদেহ গ্রামের বাড়ী আলফাডাঙ্গা উপজেলার চাঁদড়া গ্রামে নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় তার গ্রামের সামাজিক শশ্মান ঘাটে সৎকার সম্পন্ন করা হয়েছে। 

হারান মিত্রের অকাল মৃত্যুতে শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক, সাবেক এমপি আব্দুর রহমান, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ফরিদপুর প্রেসক্লাবের কর্মরত সাংবাদিকরা, আলফাডাঙ্গা, মধুখালী ও বোয়ালমারী উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ। এছাড়া বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে।