Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

এয়ারপোর্ট-বারিক বিল্ডিং সড়ক হবে শেখ হাসিনার নামে : চসিক মেয়র চট্টগ্রাম

এয়ারপোর্ট-বারিক বিল্ডিং সড়ক হবে শেখ হাসিনার নামে : চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচিত পরিষদের ৫১তম সাধারণ সভায় নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিটি মেয়র আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন। সভায় চসিক প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লেঃ কর্ণেল সোহেল আহমদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম  প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া,সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম সহ চসিক বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগন এবং নগরীর সরকারী ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের পদস্থ কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন। 

সভায় সঞ্চালনায় ছিলেন চসিক সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী। সভায় নগরীর ব্যস্ততম সড়ক এয়ারপোর্ট থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত সড়কটি বিশ্বশান্তির শ্বেত কপোত মাদার অব দ্যা হিউম্যানিটি দেশরত্ন মাননীয় প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। গতকাল রোববার সকালে চসিক সাধারণ সভায় সিটি মেয়র এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে এই প্রস্তাব উত্থাপিত হলে হাউসে উপস্থিত সভ্যগন সম্মতিক্রমে এ প্রস্তাব অনুমোদন করেন।

সিটি মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট রোডকে নান্দনিক সাজে সাজানো হচ্ছে। বর্তমানে এ সড়কে ৪১কোটি টাকা ব্যয়ে এই রোডের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। কাজের মধ্যে রাস্তার দৃষ্টিনন্দন ফুটপাত, রাস্তার পাশে সৌন্দর্যকরণ, চার লাইনে রাস্তা নির্মাণ চলমান রয়েছে। 

এছাড়াও বিউটিফিকেশন কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে নৌকার ওপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ম্যুরাল। দৃষ্টিনন্দন স্থাপনাটি এই বিমান বন্দর দিয়ে আসা দেশ-বিদেশের অতিথিদের স্বাগত জানাবে বলে সিটি মেয়র উল্লেখ করেন। এয়ারপোর্ট রোডের সৌন্দর্যবধনের কথা উল্লেখ করে সিটি মেয়র বলেন এই সড়কে তিনটি সেতু রয়েছে। সেতুগুলো ঘিরে ব্যাপক সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করছে চসিক। সেতুর ওপর এলইডি বাতি মুগ্ধ করছে দেশ-বিদেশের অতিথিদের। সড়ক বিভাজনকে সবুজ,রকমারি ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। ফুটপাতের পাশেও রয়েছে বাহারি ফুলের মেলা। রুবি সিমেন্টের পাশের সেতুটিতে এলইডি বাতির কাজ হয়েছে। এসব কাজে কর্ণফুলীর পাড় ঘেঁষে এয়ারপোর্ট রোডের চেহারাই বদলে যাবে বলে তিনি মতামত ব্যক্ত করেন।  

সিটি মেয়র আরো বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ২০১৭ সাল থেকে শুরু হয় মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদও দুর্নীতি বিরোধী সমাবেশ। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে এ সমাবেশ এবং কমিটিও গঠিত হয়েছে। আর প্রতিটি কমিটি তাদের এলাকায় কারা সন্ত্রাসী, মাদকসেবী, জঙ্গিবাদের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে-তার একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ ওয়ার্ডে প্রনীত তালিকা আইন শৃংখলা স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের বরাবরে জমা হয়েছে। আর যে সমস্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলরগন মাদকাসক্ত, সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদের তালিকা জমা দেয়নি,তাদেরকে আগামী ৫ (পাঁচ) কার্যদিবসে তালিকা জমা দেয়ার আহবান জানান মেয়র। এই প্রসঙ্গে সিটি মেয়র বলেন জমাকৃত এই তালিকা বিভিন্ন এজেন্সীতে প্রদান করা হবে। তারাই যাচাই-বাছাই করে এই তালিকা চূড়ান্ত করবে। সম্ভবতঃ আগামী ১৬ নভেম্বর ২০১৯ শনিবার দুপুর ২টায় ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এই সমাবেশটি হবে সুশৃংখল, সমাগম। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর,সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নেতৃত্বে এ সমাবেশে যোগ দেবে হাজার হাজার মানুষ।  

এই সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, র‌্যাব প্রধান, মাদক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সহ সংশ্লিষ্ঠদেরকে উপস্থিত থাকার জন্য দাওয়াত দেয়া হবে বলে সিটি মেয়র উল্লেখ করেন। সভায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স:) উদযাপন, এই উপলক্ষে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন, নগরীর বহদ্দারহাট হতে বারেক বিল্ডিং পর্যন্ত  সড়কে পে-পার্কিং ও ফ্রি পার্কিং এলাকা চিহ্নিতকরণ, সড়ক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, রক্ষণাবেক্ষন তালিকাভুক্ত অবকাঠামো ও সম্পদ সমূহের জন্য বার্ষিক ও এন্ড এম পরিকল্পনা তৈরী, বাির্ষক বাজেটের হিসাব ও চাহিদাকরণ বিষয়ে আলোচনা, স্থাপনা, ব্রীজ, অস্থায়ী পারাপার সেতু, দোকান, বাজার ইত্যাদি লীজ বা অর্থের বিনিময়ে নির্মাণ/স্থাপনের অনুমতি প্রদানের পূর্বে রাজস্ব বিভাগ কর্তৃক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মতামত গ্রহণ, চট্টগ্রাম মহানগরীর যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগের সাথে কর্পোরেশনের সমন্বয় করে সুশৃঙ্খল গণপরিবহনের পরিকল্পনা গ্রহন, ৮টি স্থানে ফুটওভার ব্রীজ, মেয়র গোল্ডকাপ উপলক্ষে প্রতিটি ওয়ার্ডে র‌্যালির আয়োজন নিয়ে বিস্তারিত আালোচনান্তে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় বিগত সভার কার্যবিবরণী আলোচনা সাপেক্ষে অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় অর্থ ও সংস্থাপন, শিক্ষা স্বাস্থ্য পরিকল্পনা এবং স্বাস্থ্য রক্ষা, নগর অবকাঠামো নির্মাণ ও সংরক্ষণ, আইন শৃংখলা, পরিচালনা ও রক্ষণা-বেক্ষণ, যোগাযোগ, দারিদ্র হ্রাসকরণ ও বস্তি উন্নয়ন, নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন, সমাজকল্যাণ ও কমিউনিটি সেন্টার, হিসাব নিরিক্ষা ও সংরক্ষন ষ্ট্যান্ডিং ও নামকরণ উপ- কমিটির চেয়ারম্যানগণ স্ব স্ব কমিটির কার্যবিবরণী উপস্থাপন করেন এবং আলোচনান্তে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভার শুরুতে নগরীতে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তিদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাদ্রাসা পরিদর্শক মাওলানা হারুণ-উর-রশিদ চৌধুরী।