ফরিদপুরে ফসলি জমিতে রাজত্ব করছে ইট ভাটা! ফরিদপুর /  বিশেষ সংবাদ / 
ফরিদপুর জেলা শহরতলীসহ ৯টি উপজেলার ফসলি মাঠে একের পর গড়ে উঠছে ইট ভাটা। এ যেন ফসলি মাঠে কৃষির বদলে ইট ভাটার রাজত্ব। এতে একের পর এক কৃষি জমি বিলিন হয়ে যাচ্ছে জেলায়। শহরতলীর ডিগ্রিচর ইউনিয়নের আইজদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গি এলাকায় ২০০ গজের মধ্যে গড়ে উঠেছে তিনটি ইট ভাটা। এসব ভাটা গুলো যেমন ফসলি জমি হারাচ্ছে একই সাথে জনবসতিপূর্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে। এতে ওই এলাকার বসবাসরত মানুষ বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যধিতে আক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরোজমিনে গিয়ে জানাযায়, ওই এলাকার ফসলি জমি ও ঘনবসতিপূর্ন এলাকায় আরশাদ ব্যাপারী (নতুন করে তৈরি হচ্ছে), চাঁন মিয়া ও লিয়াকত মাতুব্বরের তিনটি ভাটা রয়েছে। এসব ভাটার কালো ধোয়া ও ট্রাক চলাচল করার কারনে ধুলো বালিতে এলাকায় পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। একই সাথে উর্বর কৃষি জমিতে তৈরি করা হয়েছে এই সব ভাটা। আর এই সব ভাটার পরিবেশের অনুমতি পরিবেশ অধিদপ্তর বিনিময়ের মাধ্যমে দিয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে ওই এলাকার নিরু ফকির বলেন, আমাদের এখানে যেসব ইট ভাটা রয়েছে ভাটার ধুলো বালি ও ধোয়ায় এলাকার পরিবেশ খুব খারাপ হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, দুটি ভাটা তো আগেই ছিলো এখন আবার আরশাদ ব্যাপারী নতুন করে আরেকটি বানাচ্ছে। এভাবে এলাকায় ভাটা হলে আমাদের এই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।
এলাকার আরেক বাসিন্দা সিদ্দিক মিয়া বলেন, এখানে বাইরের জেলা থেকে লোক এসে কাজ করছে। তাদের ব্যবহারে আমরা অতিষ্ট। তারা এলাকায় অফিস ঘড় বানিয়েছে। আর সেই সব অফিস থেকে নারীদের সাথে খুব বাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ভিতর যশোর এলাকার এক ইট ভাটা শ্রমিক এখকার এক বৌকে নিয়ে চলে গেছে। আমরা ইট ভাটা শ্রমিক ও এসব ইট ভাটার কারনে খুব বিপদে আছি।
শেখ শাহেদ আলী বলেন, এই এলাকার তিনটি ইট ভাটার প্রচুর ট্রাক আসা যাওয়া করে। এইসব ট্রাকের ধুলোতে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে। একই সাথে ভাটার কালো ধুয়াতো আছেই। তিনি বলেন এ সব ভাটার অনুমতি অনৈতিক সুবিধা নিয়ে পরিবেশ দপ্তর দিয়েছে। সরোজমিনে যাচাই না করেই অনুমতি প্রদান করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে জানতে ফরিদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপরিচালক ড. মোঃ লুৎফর রহমানের মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমরা কৃষি জমি ও জনবসতিপূর্ন জমিতে ইট ভাটার জন্য সাধারনত ছাড়পত্র দেয়ার নিয়ম নেই। তবে অনেক ক্ষেত্রে স্ব স্ব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে দেয়া হয়ে থাকে। তিনি আরো বলেন, আমরা এমন কোন অভিযোগ পেলে এলাকায় গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
স্থানীয়দের দাবি অতিদ্রুত সংশ্লিষ্ট দপ্তর এসব ইট ভাটা গুলোর ব্যাপারে একটি সুষ্ঠ আশু পদক্ষেপ গ্রহন করবে।