Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

বুয়েটের নৃশংস হত্যাকান্ডে বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিক্রিয়া জাতীয়

বুয়েটের নৃশংস হত্যাকান্ডে বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিক্রিয়া

বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দেশের প্রবীণ বুদ্ধিজীবী ডাঃ এস এ মালেক এক বিবৃতিতে দেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বুয়েটে গত কয়েকদিন আগে একজন মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং এই অমানবিক ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় এনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। বুয়েটের মতো উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় অব্যাহত রয়েছে এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন। এমন মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান সবাই। হত্যার পর পরেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা অল্প সময়ের মধ্যে দোষী ছাত্রদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হন এবং আইনের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে। এই মর্মান্তিক, অনাকাঙ্খিত ও বর্বরোচিত ঘটনায় সরকার উদ্বিগ্ন এবং প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খুনী ও সন্ত্রাসী কে কোন দলের তা বিবেচনায় না নিয়ে অপরাধী হিসেবে শাস্তির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন। একজন মা হিসেবেও তিনি আবরার ফাহাদ হত্যার ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে বুয়েটের ঘটনা নিয়ে একটি রাজনৈতিক মহল ষড়যন্ত্র করছে ও সরকারের উপর দোষ চাপিয়ে ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে। তাদের কাজ দেশ ও সরকারকে অস্থিতিশীল করার মাধ্যমে দেশকে ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখী করা। বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রহত্যার ঘটনা আজ নতুন ঘটনা নয়। সব সরকারের আমলেই এই ধরণের ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে স্বৈরাচারী শাসকরা শত শত ছাত্র হত্যা করেছেন। সেই সকল হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হয়নি। বিচারের নামে প্রহসন করা হয়েছে। 

একজন প্রবীণ বুদ্ধিজীবী হিসেবে তিনি সকলকে দেশের স্বার্থে, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের স্বার্থে, ধৈর্য্য ও সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানান। কোন রকম উস্কানীমূলক বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থেকে পরিস্থিতিকে শান্ত করার মাধ্যমে শিক্ষার পরিবেশ স্বাভাবিক করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব বলে তিনি মনে করেন। বুয়েটের নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনায় বিদেশী বিভিন্ন রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকেও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তবে তাদের আশ্বস্থ করে জানাতে চাই, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর এবং দেশের সন্ত্রাস দমনে জিরো ট্রলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী। রাষ্ট্র-সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে না। ইতিপূর্বে যে কোন হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার করা হয়েছে এবং আবরার ফাহাদ হত্যারও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা হবে। 

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বুয়েটের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীবৃন্দ ও বুয়েট প্রশাসন আলোচনার মাধ্যমে বিরাজমান সমস্যার দ্রুত সমাধানের মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করবেন ও একাডেমিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন। বুয়েট প্রশাসন একটু সতর্ক হলে এই কলঙ্কিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব হতো। তিনি প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধে সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার পরামর্শ দেন।