Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ শিক্ষা

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ

শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে উপাচার্যের ক্ষমতাবলে বুয়েটে সব ধরনের সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টায় বুয়েট অডিটোরিয়ামে ফাহাদ স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্যদিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক শুরু হয়। এতে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ইয়াজ হোসেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মাসুদসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনার শুরুতে ফাহাদ হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত সব আসামিকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভিসি। এ ঘটনায় মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ১৯ জন।

ফাহাদের খুনিদের ফাঁসিসহ শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবি নিয়ে বুয়েটের ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ ব্যাচের সঙ্গে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের শর্ত অনুযায়ী, গণমাধ্যমের সামনে আলোচনা করতে রাজি না হলেও পরে উপাচার্য সাংবাদিকদের সামনে আলোচনা করতে রাজি হয়েছেন। তবে তিনি বৈঠক সরাসরি সম্প্রচার না করার শর্ত জুড়ে দিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র দেখে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের দশ দফা দাবিগুলো ছিল, খুনিদের শনাক্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, খুনিদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১১ অক্টোবরের মধ্যে আজীবন বহিষ্কার করতে হবে, আবরার হত্যা মামলার সব খরচ এবং ক্ষতিপূরণ বিশ্ববিদ্যালয়কে বহন করতে হবে, মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের অধীন স্বল্পতম সময়ে নিস্পত্তি করতে হবে, অবিলম্বে চার্জশিটের কপিসহ অফিসিয়াল নোটিশ দিতে হবে, বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে, ঘটনার পর ভিসি কেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি এবং ৩৮ ঘণ্টা পর গিয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর না দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের কাছে তার জবাব দিতে হবে, আবাসিক হলগুলোতে র‌্যাগের নামে এবং ভিন্নমত দমানোর নামে নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে, এ ধরনের ঘটনা প্রকাশে একটি কমন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে হবে, নিরাপত্তার জন্য সব হলের উইংয়ের দু’পাশে সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে এবং ১১ অক্টোবরের মধ্যে শেরেবাংলা হলের প্রভোস্টকে প্রত্যাহার করতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত রোববার রাতে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন পিটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার মরদেহে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ। এ মামলায় এ পর্যন্ত এজহারভুক্ত ১৩ জন আসামিসহ ১৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।