Opu Hasnat

আজ ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার ২০২৪,

আজকের শিশুরাই আগামী দিনের কর্ণধার : প্রধানমন্ত্রী জাতীয়

আজকের শিশুরাই আগামী দিনের কর্ণধার : প্রধানমন্ত্রী

সরকার শিশুদের জন্য শিশুশ্রম নীতি তৈরি করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের শিশুরাই তো আগামী দিনের কর্ণধার। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে শিশুদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আজকের শিশুরাই নেতৃত্ব দেবে আগামীর বিশ্ব। এগিয়ে নিয়ে যাবে সভ্যতা ও সংস্কৃতি।

তিনি বলেন, ‘আমরা শিশু নির্যাতন বন্ধে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। সেগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’

বুধবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০১৯-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের কুপ্রভাব থেকে শিশুদের মুক্ত রেখে উন্নত ভবিষ্যৎ গড়তে কাজ করছে সরকার। শিশুদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এ ছাড়া সব শিশুর সমঅধিকার নিশ্চিত করে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুদের মানসিক ও সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশের পাশাপাশি দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকের ছোবল থেকে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। 
 
নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক শিশুরা সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের সুশিক্ষিত করতে হবে। শিশুদের জন্য নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তুলতে হবে। তাদের প্রতি সহিংস আচরণ এবং সব ধরনের নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিশুরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনের খেলাধুলায়ও আজ অনেক বেশি। অনেক পুরস্কার নিয়ে আসছে তারা। তবে সেখানেও ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা একটু বেশি অর্জন করছে। তাই ছেলেদের পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ জন্য মাতৃস্বাস্থ্যের দিকেও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আমরা চাই শিশুদের ভবিষ্যৎ এগিয়ে নিয়ে যেতে। পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা কেন পিছিয়ে থাকব?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে এমন সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে যেখানে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও অক্ষরজ্ঞানহীনতা থাকবে না। আর এর জন্য এখন থেকেই নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। তাদের কর্মদক্ষতা যেন বিকশিত হয়, সেদিকে লক্ষ রাখছে সরকার।’

তিনি বলেন, ‘আগে মায়েরা তাদের প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের কথা কাউকে সহজে বলতে পারতো না। এ নিয়ে মায়েদের নানা সমস্যায় পড়তে হতো। আওয়ামী লীগ সরকার এ ব্যাপারে সচেতন। বাংলাদেশে প্রায় ১৬ লাখ প্রতিবন্ধীকে আমরা মাসিক ভাতা দেওয়া শুরু করেছি, যাতে তাদের কেউ অবহেলা করতে না পারে। এছাড়া যেসব প্রতিবন্ধী পড়াশোনা করছে, তাদের বৃত্তি দেওয়ারও ব্যবস্থা করে দিয়েছি। শিশু অধিকার নিশ্চিতে প্রতিবন্ধী আইন তৈরি করে দিয়েছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা শিশু শ্রম নীতি তৈরি করেছি। শিশুরা এমন কোনও ঝুঁকির কাজ করবে না, যাতে তাদের স্বাস্থ্যের হানি হয়। আমরা শিশু নির্যাতন বন্ধে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। সেগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’

জাতির পিতার করে যাওয়া শিশু অধিকার আইনের আলোকেই তার সরকার ২০১১ সালে জাতীয় শিশু নীতিমালা প্রণয়ন করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর পাশাপাশি শিশুদের শিক্ষা, খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চা—সবদিকে যেন তাদের পারদর্শিতা গড়ে ওঠে, সেদিকে আমরা দৃষ্টি দিয়েছি। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলে শিশুদের আধুনিক প্রযুক্তি দক্ষতাসম্পন্ন করে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের প্রতি জেলায় ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাবসহ শিশুদের প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেছে।’