সঙ্গীতজ্ঞ শচীন দেববর্মণের ১১৩ তম জন্মবার্ষিকী পালিত বিনোদন /  কুমিল্লা / 
উপমহাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতজ্ঞ শচীন দেববর্মণের ১১৩ তম জন্মবার্ষিকীতে কুমিল্লায় দিনব্যাপি কর্মসূচী পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তার পৈত্রিকবাড়ি চর্থার নবাববাড়িতে স্থাপিত অস্থায়ি প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়। প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া পুরনো বাড়িটি সংস্কার করে আধুনিকায়ন করা হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের উদ্যেগে জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর এর সাথে প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা বৃন্দ শ্রদ্ধা জানায়। পরে কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমী, নজরুল পরিষদ, কালচারাল কমপ্লেক্স, কুমিল্লা ইউসুফ হাই স্কুলের শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রী ও সাংস্কৃতিক কর্মীবৃন্দ শ্রদ্ধা জানায়।
উপস্থিত ছিলেন, স্থানিয় সরকারের অতিরিক্ত পরিচালক আজিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী, রাজস্ব মোঃ আসাদুজ্জামান, শিক্ষা ও আইসিটি মইণ উদ্দিন, কালচারাল কমপ্লেক্স সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন সিদ্দীকি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভপতি মুক্তিযোদ্ধা পাপড়ি বসু, কালচারাল কমপ্লেক্স এর সদস্য দিলনাশী মোহসেন, সুরের ধারা’র সভাপতি হাসান ইমাম মজুমদার ফটিক, সাধারণ সম্পাদক বশিরুল আনোয়ার, সংলাপের পরিচালক শাহজাহান চৌধুরী, নজরুল ইন্সটিটিউটের পরিচালক আল আমিন।
উপমহাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতজ্ঞ শচীন দেববর্মণের জন্ম ১৯০৬ সালের ১ অক্টোবর কুমিল্লা নগরীর নবাববাড়ি সংলগ্ন দক্ষিণ চর্থায়। ১৮৭০ সালের মাঝামাঝি সময়ে সপরিবারে কুমিল্লা এসে বসতি স্থাপন করেন তৎকালীন ত্রিপুরার মহারাজা বীরচন্দ্র মানিক্য বাহাদুরের সৎ ভাই কুমার শচীন দেববর্মণের পিতা নবদ্বীপ কুমার বর্মণ। কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাস করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ১৯২৪ সালে বিএ পাস করেন শচীন দেববর্মণ । ততদিনে তিনি হয়ে গেছেন সঙ্গীতানুরাগী। গানের নেশায় রাজ পরিবারের আদরের দুলাল শচীন চষে বেড়িয়েছেন গ্রাম থেকে গ্রামান্তর। ত্রিপুরার বাঁশি ছিল তার নিত্যদিনের সঙ্গী। ‘বাঁশি শুনে আর কাজ নেই, সে যে ডাকাতিয়া বাঁশি’ গানের মূর্ছনায় এখনও সঙ্গীতানুরাগীদের হৃদয়ে দোলা দেয়। সৃষ্টি করেছেন অসংখ্য কালজয়ী গান। সন্ধায় কুমিল্লা ক্লাবে কালচারাল কপ্লেক্স এর সহযোগিতায় শচীন দেববর্মণের গান নিয়ে সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করে শোরের ধারা।