সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান  এম.পি বলেছেন, মান বজায় রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রকল্প কাজে কোন ধরনের গাফিলতি বা সময় ক্ষেপন করা যাবে না। দুর্বল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হওয়া সম্মানের বিষয় নয়। সময়মত প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। আবার শেষ সময়ে তাড়াহুড়া করে মান ক্ষুন্ন করা যাবে না। প্রকল্প কাজে কেন দেরি হয় তার সমাধান বের করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প এলাকায় প্রকল্প পরিচালক না থাকা কাঙ্খিত নয়। কোন প্রকল্প চলাকালীন প্রকল্প পরিচালক বদলি বা একই প্রকল্পের দুইজন প্রকল্প পরিচালক থাকতে পারবে না বলে মন্ত্রী নির্দেশনা দেন। 

রোববার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আয়োজিত  চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত চট্টগ্রাম বিভাগে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারের বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যয়ন বিভাগ সভার আয়োজন করেন। 

তিনি আরো বলেন, একনেক সভায় প্রকল্প বাস্তবায়ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা বই আকারে  ছাপিয়ে প্রকল্প পরিচালকদের কাছে পাঠানো হবে। যারা দক্ষতার সাথে প্রকল্পের কাজ করছেন তাদের ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিভাগে মোট প্রকল্প সংখ্যা ১৯৩টি। এসব প্রকল্পের মোট ব্যয় ১২ হাজার ৮০৬ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা যা মোট এডিপির বরাদ্দের ১০.১৫ শতাংশ। সভায় ১০৪টি প্রকল্পের  বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যলোচনা করা হয়েছে। এর মধ্যে শুন্য অগ্রগতিসম্পন্ন প্রকল্প ১২টি, ধীর  অগ্রগতিসম্পন্ন প্রকল্প ৩১টি এবং তুলনামূলকভাবে ভাল অগ্রগতি সম্পন্ন প্রকল্প ৬১টি। আগষ্ট ২০১৯ পর্যন্ত প্রকল্পের ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৬৫৭ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা যা মোট এডিপির বরাদ্দের ৭.৫৮ শতাংশ। 

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন  জাতীয় সংসদের  হুইপ শামসুল হক চৌধুরী এমপি, সাবেক গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, রেল মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, সংসদ সদস্য ওয়াসেকা আয়শা খান ও  বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যয়ন বিভাগের সচিব আবুল মনসুর মো. ফয়েজউল্লাহ। পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সাবিক) শংকর রঞ্জন সাহাসহ  বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন।