Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

জিডিতে নয় অভিযোগেই সাচ্ছন্দ লোহাগড়া পুলিশ নড়াইল

জিডিতে নয় অভিযোগেই সাচ্ছন্দ লোহাগড়া পুলিশ

নড়াইলের লোহাগড়ায় থানায় সাধারণ ডায়রী করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিক মো. শাহীনুজ্জামান। তিনি প্রতিপক্ষের হুমকি ধামকি থেকে নিজেকে বাঁচাতে থানায় সাধারণ ডায়রী করতে গেলে গড়িমসি করে লোহাগড়া থানা পুলিশ। শাহীনুজ্জামান নড়াইল থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক প্রগতি ভাবনা পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও চ্যানেল এস এর লোহাগড়া প্রতিনিধি। এ বিষয়ে তিনি ওই থানার ওসি মো. মোকাররম হোসেনকে মুঠো ফনে জানালেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। বরং এ বিষয়ে ওসি মোকাররমকে যতবার কল করা হয়েছে ততবারই রিসিভ করেন নি। তাৎক্ষনিক জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন দেন ওই সাংবাদিক। সেখান থেকেও কোন সহযোগিতা পাননি শাহীনুজ্জামান। উপায় না পেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মো. শাহীনুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরে গণ মাধ্যম কর্মী হিসেবে কাজ করে আসছেন। এর পাশাপাশি বিকাশ এজেন্ট হিসেবে নড়াইলের লোহাগড়া বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন। ব্যবসায়ীক লেনদেন নিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর নিউ আচল শাড়ি ঘরে যান তিনি। টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দোকান মালিক শোভা বেগমের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় দোকান মালিক শোভা দোকানের কর্মচারীদের দিয়ে শাহীনুজ্জমানকে দেখে নেওয়ার হুমকি ধামকি দেয় ও অশালীন ভাষায় গালাগালি করে। বিষয়টি শাহীনুজ্জামান ওই দিন রাতেই সহকর্মী কাজী আশরাফকে সাথে নিয়ে  লোহাগড়া থানায় সাধারণ ডায়রী করতে গেলে ডিউটি অফিসার  নাসরিন বলেন ওসি স্যার ছুটিতে আছেন। আপনি থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আবুবকর সিদ্দিকি স্যারের সাথে কথা বলেন। পরে এস আই আবুবকর জিডি কপির কিছু অংশ পরিবর্তন করে পরের দিন থানায় আসতে বলেন। তার কথা মতে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ওই বিষয়ে থানায় জিডি করতে গেলে ডিউটি অফিসার এএসআই ওবায়দুল্লাহ শাহীনুজ্জামানকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন নিউ আচল শাড়ি ঘরের মালিক শোভা বেগমের সাথে আমার ব্যক্তিগত খুব ভালো সম্পর্ক। আমি তাদের বিরুদ্ধে জিডি গ্রহণ করতে পারব না। বিষয়টি মোবাইল ফোনে লোহাগড়া থানার ওসি মো. মোকাররম হোসেন এমনকি জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ কল করেও কোন সহযোগিতা পাননি বলেও অভিযোগে উলে­খ করেন মো. শাহীনুজ্জামান।

থানার ওই ডিউটি অফিসার এএসআই ওবায়দুল্লাহ অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ওসি স্যারের নির্দেষ আছে, কোন ব্যক্তির নামে জিডি করতে হলে তাকে না জানিয়ে নেওয়া জাবে না। 

একাধিক সূত্রে জানা গেছে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোকাররম হোসেন, বিপদে পড়া ব্যক্তিদের জিডি অথবা এজাহার গ্রহন না করে ভিন্ন পন্থায় অভিযোগ গ্রহনের বেশি সাচ্ছন্দ বোধ করেন। পরে দুই পক্ষকে ডেকে থানায় শালিশ করাতেও তিনি বেশ বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন।   

এসব বিষয়ে থানার ওসি মোকাররম হোসেনকে একাধিক বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায় নি।