Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

চট্টগ্রাম মহানগরীতে পুলিশের সোর্স প্রতারক পলাশ গ্রেপ্তার চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মহানগরীতে পুলিশের সোর্স প্রতারক পলাশ গ্রেপ্তার

মহানগরীর হালিশহর থানায় পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) পরিচয়ে ফোনে তদবির করার অভিযোগে পলাশ শীল (৩২) নামে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে উত্তর হালিশহরের আচার্য্যপাড়া-নাথপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে হাটহাজারী উপজেলার ফতেয়াবাদ এলাকার অরুন শীল ও শিপ্রা শীলের পুত্র। পলাশ নাথ পাড়া এলাকার অরুন শীলের জামাতা ও  ঘর জামাই হিসেবে সেখানে বসবাস করে পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতো। 

স্থানীয়দের মতে, জোরপূর্বক জায়গা-জমি আত্মসাতের কুমানসে পুলিশকে বশে এনে পলাশ এলাকার নিরীহ সন্তোষ নন্দন শীল, দীপেন শীল ও সাধন শীলসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মিথ্যা মামলা রুজু করে। এসব মামলায় আদালত থেকে জামিন পায় তারা। পলাশকে গ্রেপ্তারের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে উত্তর হালিশহর নাথপাড়া ও আচার্য্যপাড়া এলাকার ভুক্তভোগী জনগণ মিষ্টি বিতরণ করেন। 

পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ২১ এপ্রিল হালিশহর ফইল্যাতলী বাজার এলাকা থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির পোড়া লাশ উদ্ধারের ঘটনায় জীবন চক্রবর্তী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঐ জীবন চক্রবর্তীকে মামলার অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে তার পরিবারের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক পলাশ। পরে পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) পরিচয়ে থানার ওসিকে ফোন করে ওই আসামির পক্ষে তদবির করে। বিষয়টি ওসির সন্দেহ হলে ঐ ফোন কলটি পরীক্ষা করে পুলিশ নিশ্চিত হয় পলাশ ভুয়া নম্বার থেকে প্রতারণা করছে।

হালিশহর থানার ওসি এস.এম ওবাইয়েদ বলেন, একটি নম্বর থেকে এআইজি স্যারের পরিচয় দিয়ে ফোন করে পলাশ। কথাবার্তায় সন্দেহ হলে আমরা খোঁজ নিই। পরে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। পলাশ দীর্ঘদিন ধরে নিজের ফেসবুক আইডিতে সিএমপির লোগো ব্যবহার করে স্থানীয় লোকজনের সাথে প্রতারণা করছে। 

স্থানীয়রা জানায়, গ্রেপ্তারকৃত প্রতারক পলাশ শীল একজন পুলিশের সোর্স। সে দীর্ঘদিন ধরে উত্তর  হালিশহরস্থ তার শ্বশুর বাড়ি এলাকার লোকজনের জায়গা-জমি জোরপূর্বক আত্মসাতের চেষ্টা করে আসছিল। পুলিশের সাথে যোগসাজশে এলাকার তিন পরিবারের সদস্যকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছিল। হালিশহর থানার ওসি ও এসআইদের নাম ভাঙিয়ে এলাকার সহজ-সরল মানুষকে ইয়াবা ও অস্ত্র দিয়ে চালান দেয়ার নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত পলাশ। সে নিজেকে কখনো আইনজীবী, কখনো আইনজীবী সহকারী ও কখনো সাংবাদিক পরিচয় দিত। তার বিরুদ্ধে হালিশহর থানায় চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছে।