সুনামগঞ্জে বাউল শিল্পীকে ব্ল্যাকমেইল ও প্রাণনাশের হুমকি সুনামগঞ্জ / 
সুনামগঞ্জ ছাতক উপজেলার বাউল শিল্পী ফারাজানা আক্তারকে উপজেলার খরছখালী গ্রামের আশিক আলী গং কর্তৃক ইভটিজিং ভূয়া কাবিননামা দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টায় সুনামগঞ্জ শহরের পৌর বিপনীর দ্বিতীয় তলায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী এই নারী ফারজানা।
তিনি বলেন, আমি একজন দরিদ্র পরিবারের এতিম সন্তান এবং ক্ষুদ্র বাউল শিল্পী। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গেয়ে অর্থ উর্পাজন করে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। কিন্তু আমার উপজেলার খরছখালী গ্রামের ফজর আলীর পুত্র বিবাহিত আশিক আলী (৫০) এর সাথে এক গানের অনুষ্ঠানে আমার পরিচয় হয়। সেখান থেকেই এই লম্পট আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। আশিক আলী একজন ৫০ উর্দ্ধ ব্যক্তি ও তার স্ত্রী সন্তান নাতি নাতনী রয়েছে। এমতাবস্থায় শিল্পী ফারাজানা তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এই লম্পট কাবিননামা সৃজনের মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইলিং করতে থাকে এবং বিভিন্ন স্থানে আমাকে বিয়ে করেছে বলে অপপ্রচার করে আমার মান সম্মান হানি ঘটাচ্ছে। তার কারণে কোন গানের অনুষ্ঠানে যেতে পারছেন না বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন তিনি। তার এহেন অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ দক্ষিন খুরমা ইউপি চেয়ারম্যান মছব্বির আলীকে অবহিত করলেও সুবিচার পাইনি। পরে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তাসহ প্রতারনার অভিযোগে গত ২৯ আগষ্ট ২০১৯ সুনামগঞ্জ আমল গ্রহনকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আশিক আলীসহ ৭জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন তিনি। যার মামলা নং সিআর ২৪৮/১৯(ছাতক)। মামলা দায়েরের আশিক আলী উত্তেজিত হয়ে গত বুধবার গোবিন্দগঞ্জ বাজারের অধরা বিউটি পার্লারে তাকে তুলে নেয়ার উদ্দেশ্যে তার সন্ত্রাসী ও মাস্তান বাহিনী পাঠিয়ে দেন। সে সময় ফারজানা ছাতক থানা পুলিশকে মোবাইল ফোনে অবহিত করলে পুলিশের এসআই আজিজ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে উদ্ধার করে নিরাপদে বাড়ীতে পৌছে দেন।
তার দায়েরকৃত মামলাটি ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য প্রতিবেদন দাখিলে নানান প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে আশিক আলী। বার বার তাকে অপহরণ করার হুমকিও দিচ্ছে বলেও জানান তিনি। বর্তমানে ছাতক থানার এসআই দেবাশীষ দে মামলাটি তদন্ত করছেন। মামলা তুলে না নিলে ফারজানাকে প্রাণে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার। ন্যায় বিচারের স্বার্থে দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে আশিক আলীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পুলিশ প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।