Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

চট্টগ্রামে কারবালা মাহফিলে বক্তারা

অধিকার প্রতিষ্ঠায় কারবালা ময়দানের জিহাদে ঝাঁপিয়ে পড়েন হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) চট্টগ্রাম

অধিকার প্রতিষ্ঠায় কারবালা ময়দানের জিহাদে ঝাঁপিয়ে পড়েন হযরত ইমাম হোসাইন (রা.)

চন্দনাইশ পূর্ব বরকল সুন্নী কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে পবিত্র আহ্লে বাইতে রাসুল (সা.) স্মরণে শোহদায়ে কারবালা মাহফিল জেলার চন্দনাইশস্থ বাংলা বাজার মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পূর্ব বরকল সুন্নী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো. সেফায়েত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. রিপন সিকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ারা চুন্নাপাড়া মনিরুল ইসলাম ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হযরতুল আল্লামা মাওলানা মহিউদ্দীন হাশেমী আল-কাদেরী। বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটিয়া ওকন্যারা মুহম্মাদিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও চন্দনাইশ পূর্ব বরকল বাহাদুর খান জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ গাজী ইকবাল তাহেরী এবং পূর্ব বরকল নাসিম খান শাহী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মনছুরুল হক আল-কাদেরী, পূর্ব বরকল সুন্নী কল্যাণ পরিষদের সিনিয়র সদস্য মো. মুজিবুর রহমান, সংগঠনিক সম্পাদক মো. ফোরকান, অর্থ-সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সদস্য মো. আমজাদ হোসেন, মো. মারুফ, মো. কাজী শওকত, কাজী মো. এনাম, মো. জাবেদ, মো. রিদুওয়ান শাওন, মো. সাফিউল কাদের, মো. নূর হোসেন, মো. সাদেক, মো. সাঈদ সিকদার, মো. সুমন, মো. রাকিব, মো. রিদুওয়ান সিকদার, কাজী মো. টিটু, মো. ইমন সিকদার, মো. ময়ুর সিকদার ও মো. খোরশেদ আলম প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিউদ্দিন হাশেমী বলেছেন, আল্লাহ ও রাসুলের পথে যে জীবন দিয়েছেন তাকে শহীদ হিসেবে গণ্য করা হবে। আহলে বায়তের প্রেম হচ্ছে ঈমান। কারবালার প্রান্তরে ইমাম হোসাইন (র.) নিজের জীবনের চিন্তা না করে তিনি এজিদ বাহিনীকে বলেছিলেন ন্যায়ের পথে থাকব, এরপরও অন্যায়কে সমর্থন করব না। সুদ, ঘুষ, মদ, ইয়াবামুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য ইমাম হোসাইন (র.) আদর্শ বাস্তবায়ন করা ছাড়া কোন বিকল্প পথ নেই। বর্তমান সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে যাওয়া অন্যায়-অবিচার এজিদি মতবাদ, শিয়া মতবাদ দূর করতে সমস্ত সুন্নী মাশায়েকে কেরামগণকে এককাতারে এসে এগুলোর বিরুদ্ধে জেহাদ করতে হবে। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ গাজী ইকবাল তাহেরী বলেছেন, ৬১ হিজরিতে কারবালার ময়দানে সত্য মিথ্যার মধ্যে সংঘাতে চূড়ান্তভাবে সত্যের বিজয় হয়েছিল। ইমাম হোসাইন (র.) সহ নবী পরিবার সেদিন নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করে ইসলামের পুনরুজ্জীবন দান করেন। তাই আহলে বায়তে রাসূলের ভালবাসা অন্তরে ধারণ ও লালন করা ঈমানী দায়িত্ব। আহলে বায়তে রাসূলের (দ.) আত্মত্যাগের মাধ্যমে ইসলাম বিশ্বজমিনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামের সত্যিকার প্রতিনিধিত্ব করেছেন ইমাম হোসাইন (রা.)। ইসলামের ন্যায়ভিত্তিক দর্শনকে তিনি সমুন্নত করেছেন। ইমাম হোসাইন (রা.) শান্তি ও ইনসাফের প্রতীক। আহলে বায়তে রাসূল (দ.) ইসলামের কালজয়ী দর্শনকে সমুন্নত করেছেন। এ পথেই রয়েছে শান্তি, কল্যাণ ও মুক্তি। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মনছুরুল হক বলেছেন, ক্ষমতার জন্য নয়, দ্বীন, সত্য ও ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্যই কারবালা ময়দানে শাহাদাতের সুধা পান করেছিলেন হযরত ইমাম হোসাইন (রা.)। প্রলোভন ও ক্ষমতার হাতছানি উপেক্ষা করে হযরত ইমাম হোসাই (রা.) জনপ্রত্যাশার আলোকে জনগণের মুক্তি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কারবালা ময়দানে জিহাদের ঝাঁপিয়ে পড়েন। দ্বীন ও সত্যের জন্য সর্ব্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করাই শাহাদাতে কারবালার দর্শন ও শিক্ষা।