সৈয়দপুর চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চুড়ান্ত সমীক্ষার পর পাওয়া যাবে টাকা নীলফামারী / 
নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে সৈয়দা রুখসানা জামান শানু : দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গড়ে তুলতে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দর এলাকার জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া তদারকি করতে অধিকতর নিরীক্ষা (ক্রসচেক) শুরু হয়েছে। সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের দুই সদস্যের উচ্চতর প্রতিনিধি দল গত রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে ওই কাজ শুরু করেছেন। যা চলবে পুরো সপ্তাহ জুড়ে। নিরীক্ষা কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক (ডিডি) মো. মিজানুর রহমান সরকার। সংশ্লিষ্ট সুত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ভূমি অধিদপ্তর বিমানবন্দর জমি অধিগ্রহণ চিহিৃত এলাকায় এরই মধ্যে ফিল্ড বুক তৈরির কাজ শেষ করে। এতে সন্নিবেশিত এলাকার জমির অবস্থান, অবকাঠামো, প্রকল্প এলাকার জরিপ কাজ সম্পন্ন করেন। গত ১১ জুলাই এসব কাজ শেষ হয়েছে। নীলফামারী জেলা অধিগ্রহণ শাখা ( এলএ) পরিচালিত ওই জরিপ কাজ তদারকি করেন তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাহিনুর আলম। এ কাজে সহযোগিতা করেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম গোলাম কিবরিয়া ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার।
ওই সময় তিনটি সার্ভে দল এলাকায় ফিল্ড বুক তৈরির কাজ সম্পন্ন করে। সৈয়দপুর বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক প্রকল্পের আওতায় অতিরিক্ত ৯১২ দশমিক ৯০ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব করা হয়। এসব জমির মধ্যে সৈয়দপুর উপজেলার বাঙালিপুর ও পার্বতীপুরে বেলাইচন্ডি ইউনিয়ন রয়েছে। সৈয়দপুর উপজেলায় ৫৯৫ দশমিক ১৩ একর যার মধ্যে সরকারি সংস্থার ৬০ একর জমি রয়েছে। অপরদিকে বেলাইচন্ডিতে রয়েছে ৩১৭ দশমিক ৭৭ একর জমি ব্যক্তি মালিকাধীন জমি।
একই সূত্র জানায়, বর্তমানে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিদ্যমান জমির পরিমাণ ৩৩৬ একর। এরমধ্যে রয়েছে একটি টার্মিনাল ভবন, ৬ হাজার ৮শ' ফুট রানওয়ে ও অন্যান্য অবকাঠামো। জমি অধিগ্রহণের পর ওই রানওয়ে ১২ হাজার ফুটে উন্নীত হবে। যা হবে দেশের বৃহত্তম রানওয়ে। ফিল্ড বুক তৈরির পর ওই জমির সার্বিক চিত্র তুলে ধরতে অধিকতর নিরীক্ষা কাজ চলছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে বলে সূত্রটি জানায়।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম গোলাম কিবরিয়া জানান, অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণের জন্য এরই মধ্যে ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক সুশান্ত দত্ত জানান, ফিল্ড বুকের প্রতিবেদনের পুংখানু পুংখানু নিরীক্ষা চলছে। সিভিল অ্যাভিয়েশনের কর্মকর্তারা ওই কাজ করছেন। এটি শেষ হলে জমি অধিগ্রহণ মালিকদের মাঝে টাকা বিতরণ শুরু হবে বলে জানান তিনি।