সাক্ষ্যগ্রহনের মধ্য দিয়ে আজ শুরু হচ্ছে রাজন হত্যার বিচার সিলেট / 
শুরু হচ্ছে সিলেটের বহুল আলোচিত শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম।
আজ (০১ অক্টোবর) সিলেট মহানগর দায়রা জজ মো. আকবর হোসেন মৃধার আদালতে প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্যেদিয়ে এই হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর একই আদালতের বিচারক চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় সৌদি-আরবে আটক কামরুলসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় চার্জ গঠন করেন।
এদিন (২২ সেপ্টেস্বর) আদালতের বিচারক মামলার বিচারকাজ দ্রুত সম্পন্ন করার লক্ষ্যে টানা সাক্ষ্য গ্রহনের ৯টি তারিখ ধার্য্য করেন। যথাক্রমে- ১, ৪, ৭, ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫ অক্টোবর। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার থেকে রাজন হত্যা মামলার বিচারকার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।
এ মামলার অভিযুক্তরা হলেন- সিলেট সদর উপজেলার কুমারগাঁও শেখপাড়ার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে সৌদি আরবে আটক কামরুল ইসলাম, তার সহোদর মুহিত আলম ওরফে মুহিত আলম, আলী হায়দার ওরফে আলী ও শামীম আলম, দিরাইয়ের বাসিন্দা পাভেল ইসলাম, চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না, জালালাবাদ থানার টুকেরবাজার ইউনিয়নের পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনের ছেলে ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর আহমদ ওরফে নূর মিয়া, দুলাল আহমদ, আয়াজ আলী, তাজ উদ্দিন বাদল, ফিরোজ মিয়া, আছমত আলী ওরফে আছমত উল্ল্যাহ ও রুহুল আমিন ওরফে রুহেল।
তাদের মধ্যে সৌদি-আরবে আটক রয়েছেন কামরুল ইসলাম, শামীম আলম ও পাভেল ইসলামকে অভিযোগপত্রে পলাতক দেখানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই ভোরে ‘চোর’ সন্দেহে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনকে (১৩) নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পৈচাশিক নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয় নির্যাতনকারীরা। প্রায় ২৮ মিনিটের সেই ভিডিও চিত্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। নিহত রাজন সদর উপজেলার কান্দিরগাঁও ইউনিয়নের বাদেআলী গ্রামের আজিজুল ইসলামের (আলম) ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পর মহানগরীর জালালাবাদ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) বাদী হয়ে মুহিত আলমসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।